খাঁচার মধ্যে নিজের মতো জলাশয়ের ধারে ঘোরাফেরা করছে এক জলহস্তী। তার খাঁচার সামনে ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকেরা। এত লোকজন দেখে তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছে জলহস্তীটি। পর্যটকদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল সে। ‘শোধ’ তুলতে সে দিকে ঘুরে বাতকর্ম সারল জলহস্তী। তা শুনে খাঁচার সামনে থেকে দূরে সরে গেলেন পর্যটকেরা। সমাজমাধ্যমে এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
‘ক্রিস.পি.মিডিয়া’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, চিড়িয়াখানায় জলহস্তীর খাঁচার সামনে ভিড় করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন পর্যটকেরা। কিন্তু ভিড় দেখে পর্যটকদের দিকে পিছন ফিরে দাঁড়াল জলহস্তী। ঠিক তখনই খাঁচার ভিতর থেকে এক তরুণ চিৎকার করে পর্যটকদের দূরে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন। মুহূর্তের মধ্যে জোর শব্দ শোনা গেল।
আসলে, পর্যটকদের দিকে পিছন ফিরে বাতকর্ম সারল জলহস্তীটি। খাঁচার ভিতরে থাকা সেই তরুণ জলহস্তীর দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন। জলহস্তীর হাবভাব দেখে তিনি পরবর্তী ঘটনাটি অনুমান করতে পেরেছিলেন। তাই পর্যটকদের খাঁচার সামনে থেকে সরে যেতে বলছিলেন তিনি। কিন্তু তত ক্ষণে যা ঘটার ঘটে গিয়েছে।
জলহস্তীর বাতকর্ম সারার পরমুহূর্তে নাক ঢেকে সেখান থেকে দূরে সরে গেলেন পর্যটকেরা। ভিডিয়ো থেকে জানা গিয়েছে যে, ঘটনাটি চিনের একটি চিড়িয়াখানায় ঘটেছে। জলহস্তীর নাম জ়ুমেই। ভিডিয়োটি দেখে এক জন নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘জলহস্তীটির ভিড় পোষায়নি। তাই ভিড় সরাবার জন্য ফন্দি এঁটে ফেলল।’’