চলছে শিবির। ছবি: দেবরাজ ঘোষ।
দলকে আন্দোলনমুখি করে ঘর গোছানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন ঝাড়গ্রাম জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। শনি ও রবিবার দু’দিন ধরে বেলপাহাড়িতে দলের চিন্তন শিবির শেষে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রবিবার চিন্তন শিবিরে হাজির ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা বিধায়ক অসিত মিত্র। কংগ্রেস সূত্রের খবর, শিবিরে সিদ্ধান্ত হয়েছে, শাসক দল, রাজ্য সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে একযোগে আন্দোলনে নামা হবে। আন্দোলনের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার অভিযান’। আগামী ২১ জুলাই ঝাড়গ্রাম এসপি অফিসে বিক্ষোভ কর্মসূচি করবেন ঝাড়গ্রাম জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। ওই দিন বিক্ষোভ কর্মসূচিতে হাজির থাকবেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা তথা বিশিষ্ট আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ এবং অসিতবাবু। অসিতবাবু বলেন, “২১ জুলাই দিনটিতে এক সময় আমরাই গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার দাবিতে আন্দোলন সংগঠিত করেছিলাম। একই উদ্দেশ্যে রাজ্যের বর্তমান শাসক ও এক শ্রেণীর দলদাস পুলিশের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামা হচ্ছে। পাশাপাশি, রাজ্য সরকার ও বর্তমান কেন্দ্র সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধেও গ্রামেগঞ্জে গিয়ে জনমত গঠন করা হবে।” অসিতবাবুর অভিযোগ, “মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, জঙ্গলমহল হাসছে। অথচ এখানকার মানুষ একশো দিনের কাজ করেও মজুরি পান নি। কেবলমাত্র বেলপাহাড়ি ব্লকেই মজুরি বাবদ প্রায় ৭ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।”
ঝাড়গ্রাম জেলা কংগ্রেসের মুখ্য সংগঠক সুব্রত ভট্টাচার্য জানান, চিন্তন শিবিরে দলের সংগঠনকে জোরদার করার জন্য ‘গ্রামে চলো’র ডাক দেওয়া হয়েছে। এলাকায় অবিলম্বে একশো দিনের কাজ শুরু করা, একশো দিনের কাজের প্রাপ্য বকেয়া মজুরি প্রদান, নতুন বিপিএল তালিকা গঠনের দাবিতে ব্লক ভিত্তিক আন্দোলন করা হবে। সেই সঙ্গে কংগ্রেসের সদস্য সংগ্রহ অভিযান জোরদার করা হচ্ছে। প্রতিটি সদস্যদের দায়িত্ব নিয়ে নতুন সদস্য সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। আগামী ১৬ অগস্ট সুব্রতবাবুর নেতৃত্বে বেলপাহাড়ি ব্লকের বাঁশপাহাড়ি থেকে জেলা কংগ্রেসের জনসংযোগ যাত্রা শুরু হবে। ৩০ অগস্ট পর্যন্ত বেলপাহাড়ি ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে জনসংযোগ মূলক পদযাত্রা করা হবে। তারপর অন্যান্য ব্লকগুলিতেও গ্রামে-গ্রামে জনসংযোগ যাত্রা
করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy