—প্রতীকী ছবি।
আগেও বহুবার উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। তবে সেই উদ্যোগ ফলপ্রসূ হয়নি। জমি জট কাটিয়ে ডেবরার লোয়াদা সেতুর কাজ সম্পূর্ণ করতে ফের একবার উদ্যোগী হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। আজ, সোমবার থেকে সংযোগকারী রাস্তা তৈরির জন্য জমি কেনা শুরু হবে। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরির আশ্বাস, “লোয়াদা সেতুর কাজ সম্পূর্ণ করার সব রকম চেষ্টা চলছে। আশা করি, শীঘ্রই সব সমস্যার সমাধান হবে।’’
এই সেতুর কাজ সম্পূর্ণ করার দাবিতে সপ্তাহ খানেক আগে বিক্রমপুরের পাশের মাঠে এক সমাবেশ করেন এলাকাবাসী। তারপরই তৎপর হয়েছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, ডেবরার লোয়াদায় একটি মৌজায় জমি কেনার প্রস্তুতি সারা হয়েছে। এখানে ৭৮ ডেসিমেল জমি প্রয়োজন ছিল। ইতিমধ্যে ৫৬ ডেসিমেল জমি কেনা হয়েছে। বাকি ২২ ডেসিমেল এ বার কেনা হবে। প্রশাসনের আশা, জমি কেনার কাজ সুষ্ঠু ভাবেই হবে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, “জমির জন্য কিছু কিছু কাজ সময়ের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হয়নি। লোয়াদা সেতু এর অন্যতম। তবে জেলার অন্যত্র অনেক প্রকল্পের ক্ষেত্রে জমি-জট দফায় দফায় আলোচনার ফলে কাটানো গিয়েছে। নিশ্চিত ভাবে লোয়াদার ক্ষেত্রেও তাই হবে।’’
লোয়াদার কাজ এগোতে চেয়ে প্রশাসন এখন স্থানীয়দের কাছে গড়বেতার মাইতা সেতুর প্রসঙ্গ বেশি করে তুলে ধরছে। সেতু হলে এলাকার হাল কী ভাবে বদলে যায় তা বোঝাচ্ছে। এখন লোয়াদায় যে পরিস্থিতি রয়েছে, এক সময়ে মাইতায় সেই একই পরিস্থিতি ছিল। সেতু তৈরি হয়ে পড়েছিল। কিন্তু সংযোগকারী রাস্তার জন্য তা চালু করা যাচ্ছিল না। পরে জমি কিনে সংযোগকারী রাস্তা তৈরি হয়। মাস কয়েক আগেই মাইতায় সেতু চালু হয়েছে। আগে এখানে নদীর উপর ছিল নড়বড়ে কাঠের সাঁকো।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলছিলেন, “দেখা গিয়েছে, মানুষকে যদি ঠিকঠাক ভাবে বোঝানো যায়, তাহলে কোনও কাজ এগোতেই আর সমস্যা হয় না। কোথাও মানুষের ক্ষোভ থাকলে তা শুনতে হবে। সেই ক্ষোভ নিরসনের ব্যবস্থা করতে হবে। ক্ষোভের কারণ কী তা জানার চেষ্টা করতে হবে।” তাঁর আশা, “লোয়াদা সেতুও আর বেশি দিন অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে থাকবে না। জমি জট কাটিয়ে দ্রুতই সেতুর কাজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy