লক্ষ্মীর ভান্ডারের প্রতীকী চেক তুলে দেওয়া হচ্ছে। ঝাড়গ্রামের সিধো কানহো সভাকক্ষে (বাঁ দিকে) ও মেদিনীপুরের প্রদ্যোত স্মৃতি সদনে। নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিম মেদিনীপুরে বাড়ল ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারে’র উপভোক্তা।
বুধবার মেদিনীপুরে এক অনুষ্ঠানে অনেক উপভোক্তার হাতে প্রকল্পের প্রতীকী চেক তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আর্থিক সাহায্য পৌঁছেছে সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। মেদিনীপুরে প্রদ্যোত স্মৃতি সদনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ছিলেন পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা, জেলাশাসক রশ্মি কমল, জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, সহ সভাধিপতি অজিত মাইতি, মেদিনীপুরের পুরপ্রধান সৌমেন খান প্রমুখ। ছিলেন জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসকেরাও।
এদিন বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের (বিজিবিএস) মঞ্চে বক্তৃতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই একই সময়ে মেদিনীপুরে অনুষ্ঠানটি হয়েছে। বড়পর্দায় ওই সম্মেলনের অনুষ্ঠান দেখানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতা শুনেছেন উপস্থিত ওই প্রকল্পের উপভোক্তারা। আগে থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুরে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারে’র সুবিধা পেতেন ৮,৭৬,৮৬২ জন মহিলা। নতুন করে আরও ১,১২,১৪৩ জন মহিলা প্রকল্পের সুবিধা পেতে শুরু করলেন। ফলে, এই প্রকল্পের উপভোক্তা সংখ্যা বেড়ে হল ৯,৮৯,০০৫।
জেলাশাসক রশ্মি কমল বলেন, ‘‘মেদিনীপুরের অনুষ্ঠানে প্রায় ৭০০ জন মহিলা এসেছিলেন। এঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রকল্পের আর্থিক সুবিধা পৌঁছে গিয়েছে। এঁদের সকলকে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা দেওয়া হয়েছে।’’ আগামী দিনে ঘাটালেও এমন একটি অনুষ্ঠান হবে বলে জেলাশাসক জানিয়েছেন। ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পে সাধারণ মহিলারা প্রতি মাসে পাচ্ছেন ৫০০ টাকা করে। এসসি, এসটি, ওবিসি মহিলারা পাচ্ছেন মাসে ১ হাজার টাকা করে। জেলাশাসক বলেন, ‘‘প্রত্যেক যোগ্য আবেদনকারীর কাছেই প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সেটাই লক্ষ্য।’’ এখনও তো কিছু আবেদন পড়ে রয়েছে, মঞ্জুর হয়নি? জেলাশাসক বলেন, ‘‘বেশিরভাগ আবেদনই মঞ্জুর হয়ে গিয়েছে। কিছু বাকি আছে হয়তো। আধার কার্ড মিস-ম্যাচের কারণে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তদন্ত করে সে সব মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’’
বুধবার ঝাড়গ্রামে লক্ষীর ভান্ডার সংক্রান্ত অনুষ্ঠানটি হয় সিদো-কানহো সভাকক্ষে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ১৮০ জন উপভোক্তা। ছিলেন বন প্রতিমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, জেলাশাসক জয়সি দাশগুপ্ত, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস, জেলা পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ ঘোষ। ঝাড়গ্রাম জেলায় লক্ষীর ভান্ডারে নতুন ও পুরনো মিলিয়ে উপভোক্তা দাঁড়াল ২ লক্ষ ৩৭ হাজার ৭৪৮ জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy