E-Paper

টাকা আটকে, শহরেও থমকে ‘সবার বাড়ি’ প্রকল্প

শুধু জাকির একা নন, এমন সমস্যায় পড়েছেন শহরের প্রায় দু’হাজার উপভোক্তা। প্রায় সবাই নিজের বাড়ি ভেঙে সেখানেই নতুন বাড়ি নির্মাণ শুরু করেছিলেন।

বরুণ দে

শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:২৬
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

প্রথম কিস্তির ৫০ হাজার টাকা পেয়ে পুরনো বাড়ি ভেঙে নতুন বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন জাকির খান। তবে সেই কাজ মাঝপথেই থমকে গিয়েছে। কারণ, আর টাকা মেলেনি। নির্মীয়মাণ বাড়ির পাশেই ছোট্ট এক চিলতে জায়গায় এখন রয়েছে তাঁর পরিবার। শহরের সিপাইবাজারের বাসিন্দা জাকির বলছিলেন, ‘‘বাড়ির কাজ মাঝপথেই আটকে গিয়েছে। খুব সমস্যায় পড়েছি।’’

শুধু জাকির একা নন, এমন সমস্যায় পড়েছেন শহরের প্রায় দু’হাজার উপভোক্তা। প্রায় সবাই নিজের বাড়ি ভেঙে সেখানেই নতুন বাড়ি নির্মাণ শুরু করেছিলেন। কাজ মাঝপথে থমকে গিয়েছে। কেউ বাড়ি ভাড়া নিয়ে রয়েছেন। কেউ পরিচিতের বাড়িতে রয়েছেন। ওই উপভোক্তাদের মধ্যে দিনমজুরি করে যাঁদের সংসার চলে, সমস্যা বেশি তাঁদেরই।

গ্রামের জন্য যেমন রয়েছে ‘আবাস যোজনা’, শহরের জন্য তেমন রয়েছে ‘সকলের জন্য বাড়ি’ (হাউস ফর অল) প্রকল্প। এই প্রকল্পে গত বছর বিপুল বরাদ্দ পেয়েছিল মেদিনীপুর। মেদিনীপুরের জন্য বরাদ্দ হওয়ার কথা ছিল ১০ কোটি ১১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা। সবমিলিয়ে ২,২৪৮টি বাড়ি তৈরির জন্য ওই অর্থ বরাদ্দ হওয়ার কথা ছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত এই প্রকল্পে এসেছিল ৯ কোটি ৮৪ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। ১,৯৯৪টি বাড়ির জন্য। পুরসভা সূত্রে খবর, প্রথম কিস্তির টাকা ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ১,৭৫২ জন উপভোক্তাকে ৫০ হাজার, ২৪২ জন উপভোক্তাকে ৪৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছিল।

পুরসভা সূত্রে খবর, এই প্রকল্প শুরু হয়েছে ২০১৫- ’১৬ সাল থেকে। এতে শহর এলাকায় যাঁরা ‘গৃহহীন’, তাঁদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয়। বাড়িপিছু খরচ হয় ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা। এরমধ্যে কেন্দ্র দেয় ১ লক্ষ ৫০ হাজার। রাজ্য ১ লক্ষ ৯৩ হাজার। উপভোক্তাকে দিতে হয় ২৫ হাজার। এ ছাড়া রাজ্য ও পুরসভা ওই এলাকার পরিকাঠামো উন্নয়নে আরও ৩৬ হাজার ৮০০ টাকা করে ব্যয় করে থাকে। এই প্রকল্পে ইতিমধ্যে মেদিনীপুরে ২ হাজারেরও বেশি বাড়ি তৈরি হয়েছে। আরও প্রায় ২ হাজার বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

পুরসভা সূত্রে খবর, ২০১৫ সালে পুর-উদ্যোগে হওয়া আর্থ-সামাজিক সমীক্ষা অনুসারে শহরে ‘গৃহহীন’ মানুষের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছিল।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

midnapore

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy