Advertisement
E-Paper

ছাত্রদের পরিবেশ বন্ধু ইটে প্রাচীর স্কুলে

প্রাচীর তৈরিতে ২০০টি ‘ইকো ব্রিক’ ব্যবহার করা হবে। তবে তা চাহিদার তুলনায় অনেকটাই কম বলে জানাচ্ছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:২৭
‘ইকো ব্রিকস’ দিয়ে এ ভাবেই তৈরি হচ্ছে পাঁচিল। —নিজস্ব চিত্র

‘ইকো ব্রিকস’ দিয়ে এ ভাবেই তৈরি হচ্ছে পাঁচিল। —নিজস্ব চিত্র

বোতলে প্লাস্টিকের র‌্যাপার ভর্তি করে ব্লক অফিসে জমা দিলে ‘ইনাম’ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল খেজুরি-২ ব্লক প্রশাসন। একই পদ্ধতিতে বোতলে প্লাস্টিক ভরে ‘ইকো ব্রিক’ বানাল কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের পেটুয়া জুনিয়র হাই এবং পেটুয়া প্রাইমারি স্কুলের পড়ুয়ারা। সেই ‘ইট’ দিয়ে বুধবার স্কুলের প্রাচীর বানানোর কাজ শুরু হল।

স্কুল সূত্রে খবর, ইউটিউব, ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তারা ‘ইকো ব্রিকস’ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে। সেই মতো, প্লাস্টিকের জলের বোতল বা ঠাণ্ডা পানীয়ের বোতলে পলিথিন প্যাকেট ও রকমারি খাবারের মোড়ক ঢুকিয়ে রাখার জন্য পড়ুয়াদের বলা হয়। গত এপ্রিল থেকে ওই ‘ইট’ বানাতে শুরু করেন পড়ুয়ারা। এ দিন বালি-সিমেন্টের সঙ্গে সেই ‘ইকো ব্রিক’ দিয়ে স্কুলের ১০ ফুট দীর্ঘ এবং ৫ ফুট উচ্চতার প্রাচীর তৈরি শুরু করেন রাজমিস্ত্রিরা। প্রাচীর তৈরিতে ২০০টি ‘ইকো ব্রিক’ ব্যবহার করা হবে। তবে তা চাহিদার তুলনায় অনেকটাই কম বলে জানাচ্ছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

‘ইকো ব্রিক’ বানানো প্রসঙ্গে পঞ্চ শ্রেণির ছাত্রী অমৃতা মণ্ডল বলে, ‘‘এপ্রিল মাসে মাসিক পরীক্ষা চলাকালীন কর্মশিক্ষার বিষয়ে বাড়ি ও আশপাশের এলাকা থেকে প্লাস্টিকের বোতল ও পলিথিন প্যাকেট সংগ্রহ করতে বলা হয়েছিল। সেই মতো আমরা প্লাস্টিক বোতল এবং পলিথিন প্যাকেট সংগ্রহ করেছিলাম। তারপর স্যরদের কথামতো বোতলে পলিথিনের প্যাকেট ঢুকিয়ে ইট বানিয়েছিলাম।’’ অন্তত ২৫০ জন পড়ুয়া মিলে ওই ইট বানিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

এ দিন ওই ‘ইকো ব্রিক’ দিয়ে প্রাচীর তৈরির সূচনায় হাজির ছিলেন দেশপ্রাণ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তরুণ জানা, বিডিও মনোজ মল্লিক প্রমুখ। ওই প্রাচীর প্রসঙ্গে সঞ্জয় পাল নামে এক সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বলেন, ‘‘বিদেশে প্লাস্টিকের হাত থেকে রেহাই পেতে এই ইট ব্যবহারের চল রয়েছে। ইকো ব্রিক মাটির তৈরি ইটের তুলনায় চার গুণ বেশি মজবুত থাকে।’’

পেটুয়া প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক তেহরান হোসেন বলেন, ‘‘আগামী দিনে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার জন্য সকলের কাছে আবেদন জানাব। এভাবে আমরা প্লাস্টিক মুক্ত হতে পারব।’’ বিডিও বলেন, ‘‘প্লাস্টিক নষ্ট করা যায় না। তাই প্লাস্টিকের পুনরায় ব্যবহার প্রশংসনীয়। আগামী দিনে যাতে গোটা ব্লকে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায়, তার বিবেচনা করা হবে।’’

Contai Bricks Plastic Bottle
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy