Advertisement
E-Paper

‘তোলা’, মহিলা ওসি অভিযুক্ত

কাঁথির ধর্মদাসবাড়ের বাসিন্দা প্রদীপ মান্না জানান, স্ত্রী ছবি মান্নার সঙ্গে তাঁর মাস খানেক আগে ঝগড়াঝাটি হয়। তার পর স্ত্রী তাঁদের এক বছরের পুত্রসন্তান হিরণকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যান।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৮ ০২:১৪
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

থানায় আটকে রেখে এক যুবককে মারধর ও টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল কাঁথির মহিলা থানার ওসির বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে কাঁথির এসডিপিও-র কাছে অবিযোগ করেছেন প্রদীপ মান্না নামে ওই যুবক। কাঁথির এসডিপিও পার্থ ঘোষ বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। মহিলা থানার ওসির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

কাঁথির ধর্মদাসবাড়ের বাসিন্দা প্রদীপ মান্না জানান, স্ত্রী ছবি মান্নার সঙ্গে তাঁর মাস খানেক আগে ঝগড়াঝাটি হয়। তার পর স্ত্রী তাঁদের এক বছরের পুত্রসন্তান হিরণকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। অনেক খুঁজেও স্ত্রী-ছেলের সন্ধান না পেয়ে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তিনি কাঁথি মহিলা থানায় অভিযোগ জানাতে যান। তাঁর দাবি, স্ত্রী ও ছেলের নিখোঁজ হওয়ার কথা বললে থানার ওসি অভিযোগ নিতে চাননি। উল্টে বলেন, ‘স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে দেখা হবে না। তবে ছেলে অসুস্থ। তাই চিকিৎসার জন্য টাকা দিতে হবে এবং তা তাঁর মাধ্যমেই দিতে হবে’। সেই মতো ১৯ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় চার হাজার করে মোট আট হাজার টাকা ওসি চিত্রলেখা মণ্ডল তাঁর কাছ থেকে নেন।

কিন্তু টাকা দেওয়ার পরেও স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে দেখা না হওয়ায় ৪ মার্চ ফের তিনি থানায় যান বলে জানান প্রদীপবাবু। তাঁর অভিযোগ, স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার জন্য ওসিকে বললে তিনি রেগে গিয়ে তাঁকে বেদম মারধর করেন লকআপে ঢুকিয়ে দেন। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে সেদিনই রাতে তাঁকে ব্যক্তিগত বন্ডে জামিনে ছেড়ে দেয় পুলিশ। তিনি এখন কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওসি চিত্রলেখা মণ্ডল। তাঁর দাবি, ‘‘অভিযোগ একেবারেই ঠিক নয়। কবে কী হয়েছে তার প্রমাণ থানার সিসি টিভির ফুটেজে রয়েছে। এ বিষয়ে যা বলার ঊর্ধ্বতন পুলিশ আধিকারিকরা বলবেন।’’

মহিলা থানা সূত্রে খবর, প্রদীপের স্ত্রী ছবি দেবীর প্রথম পক্ষের বিবাহের সন্তান রয়েছে। দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী প্রদীপ। পেশায় গাড়ির চালক প্রদীপ বিভিন্ন জনকে টাকা পয়সা ধার দিয়েছিলেন। ছবি দেবী তাদের টাকা শোধের জন্য গেলে তাঁকে ওই ব্যক্তিরা মারধর করে বলে অভিযোগ। থানায় সেই অভিযোগ জানান ছবি দেবী। মামলাও হয়। সেই সূত্রে তিনি প্রায়ই থানায় আসতেন বলে দাবি পুলিশের। গত ৪ মার্চ মহিলা থানায় ঢুকে ডিউটিরত এক মহিলা কনস্টেবলের ছবি মোবাইলে তোলেন প্রদীপ। এই নিয়ে ওসির সঙ্গে প্রদীপের বিবাদ বাধে। পুলিশ তাঁকে আটক করে। তবে রাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়।

ছবি দেবী ও তাঁর ছেলের বিষয়ে ওসির বক্তব্য, ‘‘ওঁরা কোথায় আমি জানি না। থানায় একটা মামলায় অভিযোগকারী ছিলেন ছবি মান্না। আমিও তাঁকে খুঁজছি।’’

extortion Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy