Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus in Midnapore

সবুজ জেলায় করোনা!

লকডাউনের মধ্যে হেঁটে দুই মেদিনীপুর হয়ে ঝাড়গ্রামের সীমানায় পৌঁছেছিলেন ওই দুই তরুণ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২০ ০১:৪৬
Share: Save:

‘সবুজ জেলা’য় খোঁজ মিলল দুই করোনা আক্রান্তের। যদিও ঝাড়গ্রাম জেলা স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্রের দাবি, আক্রান্ত দুই তরুণের বাড়ি ঝাড়গ্রাম জেলায় হলেও, তাঁরা দীর্ঘদিন কলকাতায় ছিলেন। ঝাড়গ্রামে থাকাকালীন তাঁরা সংক্রমিত হননি।

লকডাউনের মধ্যে হেঁটে দুই মেদিনীপুর হয়ে ঝাড়গ্রামের সীমানায় পৌঁছেছিলেন ওই দুই তরুণ। তাঁদের নিভৃতবাসে রেখে লালারসের নমুনা পরীক্ষায় পাঠানো হয়। গত সোমবার ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটির নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্রে তাঁদের নমুনা নিয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসার পরে নিভৃতবাস থেকে রাতেই তাঁদের পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় বড়মা করোনা হাসাপতালে (লেভেল ৩ ও ৪) পাঠানো হয়েছে। ওই হাসপাতালের নোডাল অফিসার শচীন্দ্রনাথ রজক শুক্রবার বলেন, ‘‘ঝাড়গ্রাম থেকে দু’জন করোনা আক্রান্তকে বড়মা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’’ স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ফের তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

হাসপাতালে ভর্তি দুই তরুণ এ দিন ফোনে জানালেন, তাঁরা ঝাড়গ্রামের এক প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা। এলাকার কয়েকজনের সূত্রে কলকাতার পার্কস্ট্রিটের এক রেস্তরাঁয় এই দুই তরুণ হাউস কিপিংয়ের কাজ করতেন। থাকতেন বেকবাগানে, ভাড়া বাড়িতে। ওই রেস্তরাঁয় ঝাড়গ্রামের ৮ জন কাজ করেন। আক্রান্ত দু’জনের দাবি, রেস্তরাঁ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মালিক টাকা দেননি। দু’মাসের বাড়ি ভাড়া বাকি থাকায় বাড়ি ছাড়তে হয়। দুই তরুণের কথায়, ‘‘পার্কস্ট্রিট ও বেকবাগান থানায় গিয়ে বাড়ি ফেরার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। পুলিশ জানায় সম্ভব নয়। এ দিকে বাড়ি মালিক ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেন। বাধ্য হয়ে ২৮ মার্চ রাত হেঁটেই ঝাড়গ্রাম রওনা দিই।’’

১ এপ্রিল তাঁরা পশ্চিম মেদিনীপুরের খাজরায় পৌঁছলে পুলিশ হিজলি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে সেখানে তাঁদের পরীক্ষা হয়নি। পরে পুলিশ ছেড়ে দিলে ফের হেঁটেই ওই ৮ জন ঝাড়গ্রাম সীমানায় পৌঁছন ২ মে। ওই দুই তরুণের ছ’জন সঙ্গী নিভৃতবাসেই রয়েছেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা এ দিন ফোন কেটে দেন। মেসেজেরও জবাব দেননি। জেলাশাসক আয়েষা রানিও মন্তব্য করতে চাননি। এর আগে গত মার্চে এগরায় যোগ থাকা ঝাড়গ্রামের এক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তাঁকেও বড়মায় ভর্তি করানো হয়েছিল। পরে তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ঝাড়গ্রাম অবশ্য এখনও খাতায়-কলমে ‘সবুজ জেলা’ই রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus in Midnapore Jhargram COVID-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE