টিকার কুপনের জন্য অপেক্ষা। মুখে কিন্তু মাস্ক নেই। কেরানিতলা টিকাকরণ কেন্দ্রে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল
আশঙ্কা সত্যি করেই পুজোর পর বেড়েছে সংক্রমণ। এখন চিকিৎসকদের উদ্বেগে রাখছে উপসর্গহীনদের সংখ্যাই। চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণ, জেলায় নতুন করে করোনা সংক্রমিতদের ৭০- ৮০ শতাংশই উপসর্গহীন।
পশ্চিম মেদিনীপুরে এখন করোনা সংক্রমণের হার ১ শতাংশের কিছু বেশি। দুর্গাপুজোর আগে ১ শতাংশের কম ছিল। সংক্রমণের হার ওঠানামাও করছে। পরীক্ষা বেশি হলে বেশি সংক্রমিতের খোঁজ মিলছে। প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, আগামী দিনে ফের কিছু এলাকায় কন্টেনমেন্ট জ়োন ফেরানো হতে পারে। জেলাশাসক রশ্মি কমল বলেন, ‘‘জেলায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। তবে সতর্ক থাকতে হবে।’’ একই মত জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভুবনচন্দ্র হাঁসদার। ফের জেলায় কন্টেনমেন্ট জ়োন ফিরবে? জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘কোন এলাকায় সংক্রমিতের সংখ্যা কেমন, দেখা হচ্ছে। এখন জেলায় সংক্রমণের হার কমই রয়েছে। এখনই কোথাও কন্টেনমেন্ট জ়োন হচ্ছে না। পরিস্থিতি তেমন হলে আগামী দিনে হতে পারে।’’ জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, নতুন করে করোনা সংক্রমিতেরা কাদের সংস্পর্শে এসেছেন, তার খোঁজও শুরু হয়েছে।
১৫ অক্টোবর ছিল দশমী। জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, ১৬ থেকে ২৪ অক্টোবর—এই ৯ দিনে পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৩,৬৪৪ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬১ জন সংক্রমিতের খোঁজ মিলেছে। অর্থাৎ সংক্রমণের হার ১.১৮ শতাংশ। বেশিরভাগেরই কোনও উপসর্গ নেই। এই সময়ের মধ্যে সংক্রমণের হার ওঠানামাও করছে। এখন জেলায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১৫৯। এরমধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১১ জন। বাড়িতে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন ১৪৮ জন। জেলায় করোনায় সুস্থতার হার ৯৭.৮৫ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৭৮ শতাংশ। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাজ্যের তরফে করোনা বিধিনিষেধ কঠোরভাবে প্রয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নৈশ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘রাত্রিকালীন বিধিনিষেধে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। কঠোরভাবে প্রয়োগ হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy