আক্রান্ত বাড়ছে। করোনা নিয়ে উদ্বেগও বাড়ছে ঝাড়গ্রাম জেলায়।
শনিবার স্বাস্থ্য দফতরের করোনা বুলেটিনে নতুন করে পাঁচজনের সংক্রমিত হওয়ার তথ্য জানানো হয়েছে। জেলার এক গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক ও তাঁর পাঁচ মাসের কন্যাসন্তান সংক্রমিত হয়েছেন বলে খবর। রাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে পজ়িটিভ হওয়ার পরে ওই চিকিৎসক ‘হোম আইসোলেশনে’ রয়েছেন। তাঁর স্ত্রী অবশ্য করোনা নেগেটিভ। জেলার এক সরকারি হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ানও সংক্রমিত হয়েছেন। ৭ জন নার্সকে ‘সেফ হোমে’ রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, করোনা হাসপাতালে ডিউটির জন্য তাঁদের ‘সেফ হোমে’ রাখা হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি জটিল হলেও জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা চুপই আছেন। চিকিৎসক মহলের একাংশের মতে, আক্রান্ত চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীরা হোম আইসোলেশনে থাকতে পারেন। কারণ, চিকিৎসার খুঁটিনাটি তাঁদের জানা। কিন্তু সাধারণ মানুষের বেশিরভাগেরই করোনা সংক্রান্ত ঠিক ধারণা নেই। তাই তাঁদের বাড়িতে রাখায় ঝুঁকি বাড়ছে বলেই চিকিৎসকদের মত। বিশেষত, সংক্রমিত বয়স্কদের। করোনা হাসপাতালে ভর্তি শহরের এক যুবকের বৃদ্ধা মা পজ়িটিভ হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে হোম আইসোলেনশনে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। শুক্রবার শেষ মুহূর্তে সঙ্কটজনক অবস্থায় করোনা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও ওই বৃদ্ধাকে বাঁচানো যায়নি।