কিছুতেই রাশ নেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যায়। রবিবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জেলার ছ’টি ভিন্ন এলাকায় ছ’জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল। আর সোমবার পাঁশকুড়া এবং ভগবানপুর-১ নন্দকুমার এবং ময়নারর আরও চারজনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। এঁরা দু’জন জনই ভিন্ রাজ্যে ফেরত পরিযায়ী শ্রমিক।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, পাঁশকুড়ার মাইশোরা এলাকার এক প্রৌঢ় গত ১৭ মে মুম্বই থেকে বাড়ি ফেরেন। নিয়ম অনুযায়ী স্বাস্থ্য দফতর তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে। এ দিন ওই প্রৌঢ়ের করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট আসে। খবর পেয়ে তাঁর বাড়িতে যান পাঁশকুড়ার বিডিও ধেন্দুপ ভুটিয়া-সহ স্বাস্থ্য কর্মীরা। প্রৌঢ়কে মেচগ্রামের বড়মা করোনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁর বাড়ির এলাকাটি সিল করে পুলিশ।
ভগবানপুর-১ ব্লকের সিমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এক বাসিন্দাও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি মহারাষ্ট্রে কাজ করতেন। ১৭ মে ওই ব্যক্তি এগরায় আসেন। সেখানে একটি কোয়রান্টিন সেন্টারে তিনি ছিলেন। ১৮ মে এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেখান থেকে ভগবানপুরে ফিরে ওই ব্যক্তি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিভৃতাবাসে থাকছিলেন। সোমবার তাঁর করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট আসে। তাঁকে বড়মা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা পাঁচ যুববকে চণ্ডীপুর করোনা হাসপাতালে আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। যেখানে তিনি নিভৃতাবাসে ছিলেন, সেই প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্বাস্থ্য দফতর সিল করেছে।