Advertisement
E-Paper

বারবার মুম্বই যোগ, আক্রান্ত আরও ৮

বুধবার রাতেই পাঁচ জনকে পাঁশকুড়ার বড়মা হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০২০ ০৩:২৭
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

পরিযায়ীদের সূত্রে করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধিতে রাশ পড়ছে না কিছুতেই। ঘাটাল মহকুমায় নতুন করে সাতজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সকলেই পরিযায়ী শ্রমিক। বুধবার রাতেই পাঁচ জনকে পাঁশকুড়ার বড়মা হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর মধ্যে দু’জন আগে থেকেই মেদিনীপুরের করোনা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। মোহনপুরেও এক পরিযায়ী করোনা পজ়িটিভ হয়েছেন। তাঁকে বড়মায় পাঠানো হয় বৃহস্পতিবার।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, বুধবার রাতে ঘাটাল মহকুমার যে সাত জনের করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে, তাঁদের মধ্যে দু’জনের বাড়ি ঘাটালে, তিন জন দাসপুর-১ ব্লক ও অন্য দু’জন দাসপুর-২ ব্লকের বাসিন্দা। ঘাটালের দু’জনের মধ্যে একজনের বাড়ি ঘাটাল পুর-শহরে। অন্যজন ঘাটাল ব্লকের এক গ্রামের যুবক। ঘাটাল শহরের ওই যুবক ২৭ মে দিল্লি থেকে ঘাটালে ফেরেন। জ্বর-সর্দি নিয়ে ৩০ মে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। ওই রাতেই তাঁকে মেদিনীপুরের করোনা হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘাটালের অন্য আক্রান্ত যুবক ১৭ মে মহারাষ্ট্র থেকে ফিরেছিলেন।

দাসপুর-১ ব্লকের আক্রান্ত তিন যুবকের বাড়ি পৃথক তিনটি গ্রামে। তবে তিন জনই মুম্বই থেকে ফিরেছিলেন। ট্রেনে দু’জন ফেরেন ১৮ মে। একজন ২৯ মে বাসে ফিরেছিলেন। বাড়িতে ফেরার পরই এই যুবকের জ্বর, সর্দি-সহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়। তাঁকে ৩১মে মেদিনীপুর করোনা হাসপাতাল ভর্তি করানো হয়। দাসপুর-২ ব্লকের আক্রান্ত যুবকের পরিবারের এক জন আগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ১৮ মে বাসে তাঁরা দাসপুরে ফেরেন।

পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাতেই মহকুমার সাত আক্রান্তের সরাসরি সংস্পর্শে আসা মোট ৩২ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সাতটি এলাকা কন্টেনমেন্ট জ়োন করে বাঁশের ব্যারিকেডে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে গত এক সপ্তাহে ঘাটাল মহকুমায় আক্রান্তের সংখ্যা হল ২১।

মোহনপুরেও করোনাভাইরাস পাওয়া গিয়েছে এক পরিযায়ীর দেহে। তনুয়া পঞ্চায়েত এলাকার বছর পঞ্চাশের ওই ব্যক্তিকে বৃহস্পতিবার বড়মা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, গত ২৩ মে মহারাষ্ট্র থেকে গাড়িতে ফিরেছিলেন তিনি। অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে প্রৌঢ়কে রাখা হয়েছিল বেগুনিয়া ক্ষেত্রমোহন বিদ্যাপীঠে কোয়রান্টিন কেন্দ্রে। সঙ্গে তাঁর ছেলেও ছিলেন। সম্প্রতি প্রৌঢ়ের উপসর্গ দেখা দেয়। ৩১ মে তাঁকে মেদিনীপুরের করোনা হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রশাসন জানাচ্ছে, ওই প্রৌঢ়ের সংস্পর্শে আসা শ্রমিকেরা সাতদিন কেটে যাওয়ায় বাড়ি ফিরেছিলেন। তাঁদের ফের কোয়রান্টিন করা হচ্ছে। পরে মেদিনীপুরে নমুনা সংগ্রহের জন্যে পাঠানো হতে পারে। আক্রান্তের পরিবারের সদস্যদেরও নিভৃতবাসে রাখা হচ্ছে।

Coronavirus in West Bengal Covid 19 Ghatal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy