Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
COVID-19

কষ্ট হলেও যুদ্ধ জিতবই

বুধবার ছিল আন্তর্জাতিক নার্স দিবস। করোনা-যুদ্ধে শামিল জেলার নার্সরাও। সব বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে সেবা ধর্মের জয়গান গাইছেন তাঁরা।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

লিপিকা চৌধুরী
পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২১ ০৫:১১
Share: Save:

তিরিশ বছর নার্স হিসাবে চাকরি করছি। কিন্তু গত দেড় বছরে যা অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা কর্মজীবনের বাকি অভিজ্ঞাতার কাছে একেবারেই নগন্য। আমি বর্তমানে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সিস্টার ইনচার্জের দায়িত্বে রয়েছি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পরে সম্প্রতি এই হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা শুরু হয়েছে। দু’শোরও বেশি কোভিড রোগীকে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার গুরু দায়িত্ব রয়েছে আমাদের কাঁধে। সামনে থেকে করছি সংক্রমিতের পরিষেবা।

এ দিন আন্তর্জাতিক নারী দিবস। পরিবার ও শুভানুধ্যায়ীদের থেকে শুভেচ্ছা পেয়েছি। কিন্তু কোভিড অতিমারির সময়ে এই দিনটি উদযাপনের আনন্দ কিছুটা হলেও ম্লান। হাসপাতালে ফ্লোরেন্স নাইটেঙ্গেলের প্রতিকৃতিতে মালা দিয়েই কাজে লেগে পড়েছি আমরা।

তবে আংশিক লকডাউনে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে আসতে সমস্যায় পড়েছি। আমি হাওড়ার উলেবেড়িয়ায় থাকি। কাকভোরে ছেলে, মেয়ে, স্বামী ও শাশুড়ির জন্য রান্না করে সকাল ৬টায় উলুবেড়িয়ার নোনা গ্রাম থেকে ট্রেনে পাঁশকুড়ায় এসেছি এতদিন। কিন্তু এখন লোকাল ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাতায়াতের ভরসা বাস। যে দিন বাসে বসার জায়গা পেলাম ভাল, তা না হলে এখন ভিড় বাসে গাদাগাদি করেই আসতে হচ্ছে।

কোভিড হাসপাতালে কাজ করি, তাই বাড়ির লকেরা সব সময় উদ্বেগে মধ্যে রয়েছেন। হাসপাতাল থেকে ফিরতে রাত ৮টা বেজে যায়। গিয়ে আবার সকলের জন্য রান্না! রাতে কয়েক ঘণ্টার শুধু বিশ্রাম। নার্স দিবসে অনেকের থেকে শুভেচ্ছা পেয়ে ভাল লাগছে ঠিকই। কিন্তু আমাদের করোনার বিরুদ্ধে লড়াই এখনও তো শেষ হয়নি। সামনে অনেকটা রাস্তা বাকি। তবে আমার বিশ্বাস, এ লড়াই আমরা জিতবই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

nurses COVID-19 coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE