—প্রতীকী চিত্র।
এক করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে মেদিনীপুরের করোনা হাসপাতালে (লেভেল-২)। মৃত ব্যক্তি খড়্গপুর শহরের বাসিন্দা। তবে এই মৃত্যু নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা। তিনি বলেন, ‘‘না জেনে কিছু বলব না।’’
তবে জানা যাচ্ছে, শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে বছর পঁয়তাল্লিশের ওই ব্যক্তি গত বুধবার থেকে মেদিনীপুরের এই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শুক্রবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। মেদিনীপুর মেডিক্যালে পরীক্ষা হয়। শনিবার রিপোর্ট আসে। দেখা যায়, করোনা পজ়িটিভ। ওই ব্যক্তি বাইরে কোথাও ভ্রমণ করেননি। তিনি রেলশহরেই ছিলেন। ফলে, কী ভাবে তিনি করোনায় আক্রান্ত হলেন, তা নিয়ে ধন্দ কাটেনি। রিপোর্ট পজ়িটিভ, ফলে মৃতদেহ পরিজনেদের দেওয়া হবে না। দেহের সৎকার কোথায় হবে? সদুত্তর এড়িয়ে ওই হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বিধি মেনে যা পদক্ষেপ করার করা হচ্ছে।’’ ওই ব্যক্তির মৃত্যু করোনাতেই হয়েছে, না কোমর্বিডিটিতে, তা-ও স্পষ্ট করেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ দিকে, আরও এক করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে ঘাটালে। শনিবার বিকেলে জেলা স্বাস্থ্যভবন থেকে এই খবর জানানো হয়। রাতেই দিল্লি ফেরত ঘাটাল শহরের বছর পঁয়তাল্লিশের ওই যুবককে পাঁশকুড়ার বড়মা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তিনি যে ওয়ার্ডের বাসিন্দা, তার একটি অংশ ‘সিল’ কর হয়েছে। দিন চারেক আগে কলকাতায় চিকিৎসার সূত্রে ঘাটালের একটি গ্রামের এক ব্যবসায়ী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা মানছেন, “ঘাটাল পুর-শহরের এক যুবকের করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে।”
ওই যুবক দিল্লিতে সোনার কাজ করতেন। ১৯ মে বাসে চেপে ২২ মে ফিরেছিলেন। তারপর ওই যুবক হোম কোয়ারান্টিনেই ছিলেন। তাঁর পরিবারের সাত সদস্যকে হোম কোয়ারান্টিনে রাখা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy