করোনা চিকিৎসার ‘সারি’ ওয়ার্ডের সামনেই মাস্ক ছাড়া চলাচল। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।
সবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ পৌঁছেছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। এখনই সংক্রমণের হার চার শতাংশ ছুঁইছুঁই। চলতি মাসের মধ্যে এই হার আট-দশ শতাংশে পৌঁছতে পারে বলে আশঙ্কা।
গত বছর মার্চ-এপ্রিলে সংক্রমণের প্রথম ঢেউ পৌঁছনোর সময়ে জেলায় সংক্রমণের হার ছিল এক শতাংশের কিছু বেশি। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষজন সচেতন না হলে আগামীতে সংক্রমণ মারাত্মক হারে বাড়তে পারে। জেলাশাসক রশ্মি কমলের অবশ্য আশ্বাস, ‘‘পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হয়েছে। সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।’’
গত বছর মার্চের শেষে জেলায় প্রথম করোনা সংক্রমিতের হদিশ মিলেছিল। ৫-১১ এপ্রিলের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছিলেন ৩জন। ১২-১৮ এপ্রিলের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছিলেন মাত্র ১ জন। ৫৭ জনের পরীক্ষার পর একজন সংক্রমিতের হদিশ মিলেছিল। অর্থাৎ, সংক্রমণের হার ছিল ১.৭৫ শতাংশ। এ বছর সেখানে ৫-১১ এপ্রিলের মধ্যে ২১৯ জন সংক্রমিতের হদিশ মিলেছে। করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৬,৩৬৮ জনের। অর্থাৎ, সংক্রমণের হার ৩.৪৪ শতাংশ।
প্রতিদিন যত সংখ্যক মানুষের করোনা পরীক্ষা হয় এবং তার মধ্যে প্রতি ১০০ জনে যতজনের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে তাকেই ‘পজ়িটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। গত বছর এক সময়ে জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ১৫-১৬ শতাংশে পৌঁছেছিল। পরে অবশ্য তাতে রাশ আসে। দ্রুত কমতে থাকে সংক্রমণ। চলতি বছর মার্চেও সংক্রমণ একেবারে নিম্নমুখী ছিল। ১-৭ মার্চে জেলায় সংক্রমণের হার ছিল ০.৫১ শতাংশ, ৮-১৪ মার্চ জেলায় সংক্রমণের হার ছিল ০.২২ শতাংশ। এর পরপরই দ্বিতীয় ঢেউয়ের রেশ পৌঁছয়।
জেলায় দু’দফায় ভোট হয়েছে। সভা, সমাবেশ হয়েছে। নেতানেত্রীদের প্রচারে উপচে পড়েছিল ভিড়। সামাজিক দূরত্ব থেকে মাস্ক পরা, করোনাবিধি মানেননি অনেকেই। এর ফলেই সংক্রমণ বেড়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। এখনও জেলার বিভিন্ন এলাকায় সামাজিক দূরত্ব তো দূরঅস্ত, বেশিরভাগ মানুষ আর মাস্ক পরার প্রয়োজনও মনে করছেন না। ফলে ক্রমশ জটিল আকার নিচ্ছে করোনা চিত্র। সার্বিকভাবে জেলায় এখনও পর্যন্ত সংক্রমণের হার ৭.২৪ শতাংশ। করোনা সংক্রমিতদের মধ্যে সুস্থতার হার ৯৭.১৩ শতাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy