প্রতীকী ছবি।
লকডাউনে ভগবানপুরে উদ্ধার হল জারিকেন ভর্তি তাজা বোমা। পুলিশের হাতে ধরাও পড়ল এক ব্যক্তি। এলাকায় তিনি তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত।
ভগবানপুরের লালপুর তৃণমূলের শক্তঘাঁটি হিসাবে পরিচিত। অভিযোগ, সেখানে ভগবানপুর ব্লকের তৃণমূলের কার্যকরী সহ-সম্পাদক শেখ আজিমুলের অনুগামী এবং ভগবানপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হারুন রশিদ (বাবুলাল) গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই চলছিল। লকডাউনের মধ্যেও গত ১১ এপ্রিল দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। তাতে আজিমুল-সহ ৪৫ জনকে ভগবানপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। পরে আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয় আজিমুল-সহ অন্যেরা।
ওই সময় থেকেই এলাকায় পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়। শুক্রবার রাতে লালপুরে বোমা মজুতের খবর পেয়ে অভিযান চালায় এগরা মহকুমা সার্কেল ইনস্পেক্টর-সহ ভগবানপুর থানার পুলিশ বাহিনী। অভিযানে, লালপুর গ্রামে শেখ কাশিমুদ্দিন নামে এক ব্যক্তির বাড়ির পিছন থেকে তিনটি জারিকেন ভর্তি ১৫৩টি তাজা বোমা উদ্ধার করে। আটক করা হয় চারজনকে। পরে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কাশিমুদ্দিনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তিনি এলাকায় হারুনের গোষ্ঠীর লোক বলে পরিচিত। বাকি তিনজনকে পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়।
তৃণমূল সূত্রের খবর, ওই দুই গোষ্ঠীকে একাধিক বার জেলা নেতৃত্ব এবং ব্লক নেতৃত্বে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তার পরেও গোষ্ঠী লড়াই থামেনি বলে দাবি। এ বিষয়ে ভগবানপুর-১ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি মদনমোহন পাত্র বলেন, ‘‘দলের তরফে একাধিক বার সতর্ক করা হলেও ওরা শোনেনি। নিজেরাই ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে মেতেছে। অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে বোমাও মজুত করছিল। পুলিশকে আইন মতো ওদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে।’’
কিন্তু লকডাউনে এত বিপুল সংখ্যক বোমা মজুত করা হল কী করে, সে নিয়ে ধন্দে পুলিশ। পুলিশি নজর এড়িয়ে কোন পথে বোমা নিয়ে এল দুষ্কৃতীরা, সে নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়েরা। এগরার এসডিপিও শেখ আখতার আলি বলেন, ‘‘বেআইনি ভাবে মজুত করা বোমা উদ্ধার এবং এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেন বোম মজুত করা হয়েছিল, ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে সে ব্যাপারে জেরা করা হবে।’’
শনিবার ধৃতকে কাঁথি আদালতে তোলা হয়। বিচারক তার পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। এ দিনই উদ্ধার হওয়া বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy