Advertisement
E-Paper

কুয়োয় দম্পতির দেহ, ধোঁয়াশা

পরিত্যক্ত কুয়ো থেকে এক দম্পতির দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। সোমবার গড়বেতা থানার অদূরে লাইব্রেরি পাড়ার ঘটনা। মৃতদের নাম অরুণ ঘোষাল (৪৮) ও বাসন্তী ঘোষাল (৪২)। তাঁদের বাড়ি গড়বেতা থানা এলাকার বাহাদুরগঞ্জে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৬ ০১:৫০
এই কুয়ো থেকেই উদ্ধার হয় দম্পতির দেহ। — নিজস্ব চিত্র।

এই কুয়ো থেকেই উদ্ধার হয় দম্পতির দেহ। — নিজস্ব চিত্র।

পরিত্যক্ত কুয়ো থেকে এক দম্পতির দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। সোমবার গড়বেতা থানার অদূরে লাইব্রেরি পাড়ার ঘটনা। মৃতদের নাম অরুণ ঘোষাল (৪৮) ও বাসন্তী ঘোষাল (৪২)। তাঁদের বাড়ি গড়বেতা থানা এলাকার বাহাদুরগঞ্জে।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরেই দু’জনে কুয়োতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। যদিও মৃতের পরিজনেদের অভিযোগ, কেউ তাঁদের দু’জনকে খুন করে কুয়োয় দেহ ফেলে দিয়েছে। বাসন্তীদেবীর আত্মীয় সুনীল ঘাটুই অভিযোগ করেন, “দিদি, জামাইবাবুকে কেউ মেরে কুয়োতে ফেলে দিয়ে থাকতে পারে।” কিন্তু তাঁদের সঙ্গে কী কারও অশান্তি ছিল? সে বিষয়ে অবশ্য কিছু জানাতে পারেননি তিনি। পুলিশের দাবি, ন্যূনতম পাঁচ দিন আগে তাঁরা কুয়োতে ঝাঁপ দেন। তবে তাঁদের দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। মৃতদেহ ময়না-তদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে আন্ত্রিকে আক্রান্ত হন অরুণবাবু। গত ৩০ জুলাই গড়বেতা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। তাঁর সঙ্গে যান স্ত্রী। অভিযোগ, গত ৩১ জুলাই হাসপাতাল থেকেই তাঁরা নিখোঁজ হয়ে যান। হাসপাতালের নার্স বা চিকিৎসকদের কিছু না জানিয়েই তাঁরা চলে যান বলে অভিযোগ। বাসন্তীদেবীর ভাই পুলিশে তাঁদের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের বাড়িতেও খোঁজখবর শুরু করেন পরিজনেরা। কিন্তু কোথাও তাঁদের সন্ধান মেলেনি। গড়বেতা গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গড়বেতার লাইব্রেরি পাড়ার বাসুদেব রায়ের বাড়ির কুয়ো থেকে সোমবার তাঁদের দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সকালে বাসুদেব রায়ের বাড়ির চারিদিক থেকে হঠাৎ দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু করে। দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির পিছনের পরিত্যক্ত কুয়ো থেকেই গন্ধ বেরোচ্ছে। কুয়োর জলে কিছু একটা ভাসতে দেখা যায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। দমকলকেও ডাকা হয়।

কুয়োয় পাইপে করে জল দিতে থাকেন দমকল কর্মীরা। জলস্তর উপরে উঠতে দেখা যায়, দু’টি মৃতদেহ ভাসছে। বাসন্তীদেবীর বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। আত্মীয়রাই দু’টি দেহ শনাক্ত করে। পুলিশ জানিয়েছে, হাসপাতালেও অসুস্থ স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীর নানা বিষয়ে গোলমাল হত। চিৎকার-চেঁচামেচিতে হাসপাতালের রোগী ও নার্সরাও বিরক্ত হতেন। পুলিশের অনুমান, তাঁদের মধ্যে প্রায়ই অশান্তি হত। নিত্য জঞ্জাটে বীতশ্রদ্ধ হয়েই তাঁরা আত্মহত্যা করতে পারেন বলে পুলিশের অনুমান।

couple body mystery
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy