Advertisement
E-Paper

বর্ষার আগে বাঁধ মেরামতি

শনিবার জেলা প্রশাসনিক অফিসের সভাকক্ষে আয়োজিত বৈঠকে জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সব পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, বিডিও, জেলা সেচ দফতর ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পদস্থ আধিকারিকরা ছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৬ ০৬:৩৫

বর্ষার সময় বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য জেলার নদী ও সমুদ্র বাঁধ রক্ষা করা নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক করল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।

শনিবার জেলা প্রশাসনিক অফিসের সভাকক্ষে আয়োজিত বৈঠকে জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সব পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, বিডিও, জেলা সেচ দফতর ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পদস্থ আধিকারিকরা ছিলেন। ওই বৈঠকে সেচ দফতর ও সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয় জেলার যেসব এলাকায় নদী ও সমুদ্র বাঁধের অবস্থা দুর্বল তা চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে জানাতে হবে। এজন্য চলতি জুন মাসের মধ্যে নদী বাঁধের ওইসব স্থান চিহ্নিত করে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার মধ্যে পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, তমলুক, নন্দকুমার, হলদিয়া, নন্দীগ্রাম এলাকায় কাঁসাই, রুপনারায়ণ, হলদি নদী বাঁধ এবং খেজুরি, কাঁথি, রামনগরের উপকূলবর্তী এলাকায় সমুদ্রবাঁধের যেসব এলাকায় অবস্থা খারাপ আছে তা চিহ্নিত করে দ্রুত মেরামতির জন্য ব্যবস্থার জন্য বলা হয়েছে। এর আগে ২০১৩ সালে পাঁশকুড়া এলাকায় কাঁসাই নদীর বাঁধ ভেঙে পাঁশকুড়া, তমলুক ব্লকে প্রবল বন্যার মত ঘটনার পুনারবৃত্তি ঠেকাতে জেলার সর্বত্র নদী, সমুদ্র বাঁধ মেরামতি ও নিকাশিখালগুলিদিয়ে বাধাহীনভাবে জল বের হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কমল বলেন, ‘‘জেলার যেসব এলাকাগুলিতে নদীবাঁধ ও সমুদ্রবাঁধ ভেঙে বন্যা হওয়ার মত আশঙ্কা রয়েছে সেইসব এলাকায় বাঁধ যাতে কোনওভাবে দুর্বল থাকে সেজন্য সবরকম ব্যবস্থা নিতে সেচ দফতরকে বলা হয়েছে। এছাড়াও নদী, খাল বাঁধের ছোট ছোট মেরামতি কাজ করতে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতিগুলিকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বাঁধ মেরামতির জন্য প্রয়োজন হলে জেলা পরিষদ ও সেচ দফতরকে জানাতে হবে।’’

জেলাশাসক আরও জানান, জেলার বিভিন্ন এলাকায় বড়-ছোট নিকাশি খালের জলে মাছ ধরার জন্য বাঁশের কাঠামো তৈরি করে জাল পাতা হয়। এতে জলের স্বাভাবিক গতিপথ আটকে গিয়ে জল নিকাশির সমস্যা হয়। তাই নিকাশি খালগুলিতে যাতে কোনও জাল পাতা না হয় সেজন্য ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নিয়ে ওইসব কাঠামো ও জাল সরানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

monsoon dam
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy