Advertisement
০৫ মে ২০২৪
অবরুদ্ধ নিকাশি নালা, মশার দাপটে নাজেহাল

ডেঙ্গি রোধে দ্রুত অভিযান চায় খড়্গপুর

শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দনগরের বাসিন্দা জহর চৌধুরী বলেন, “আমাদের ওয়ার্ডে সারা বছর নিকাশি সমস্যা। ইদানীং মশার দাপটে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি। আমি চাই, এখানে দ্রুত সাফাই অভিযান চালানো হোক।”

১৯ নম্বর ওয়ার্ডেও জঞ্জালে অবরুদ্ধ নিকাশি নালা। ছবি: দেবরাজ ঘোষ

১৯ নম্বর ওয়ার্ডেও জঞ্জালে অবরুদ্ধ নিকাশি নালা। ছবি: দেবরাজ ঘোষ

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৭ ০১:৩৬
Share: Save:

কোথাও আবর্জনায় অবরুদ্ধ নিকাশি নালা, আবার কোথাও নালায় গজিয়ে উঠেছে আগাছা। এই সব নালাই যে কার্যত মশার আঁতুড়ঘর, সে বিষয়ে কারও সন্দেহের অবকাশ নেই। ডেঙ্গির দাপট থেকে বাঁচতে তাই দ্রুত পুর অভিযানের দাবি তুলছেন খড়্গপুরের বাসিন্দারা।

খড়্গপুর শহরে একের পর এক ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়েও অনেকে হাসপাতালে ভর্তি। শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গির প্রকোপ সবথেকে বেশি হওয়ায় এই ওয়ার্ড থেকেই পুরসভার অভিযান শুরু হয়। শনিবার দিনভর এই ওয়ার্ডে সাফাই অভিযান চলে। বাকি ওয়ার্ডগুলিতেও একে একে অভিযান চলবে বলে পুরসভা সূত্রে খবর। দ্রুত সেই অভিযান শুরু করার দাবি জানাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা।

শহরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে অভিযান শুরু হলেও শহরের অধিকাংশ এলাকায় মশানাশক তেল ছড়ানোর উদ্যোগ চোখে পড়েনি। ফলে বর্ষা আসতেই বাড়ছে মশার দাপট। এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘পুরসভা বলছে মশারি টাঙিয়ে শোন। সে না হয় হল। কিন্তু দিনের বেলাতেও মশার ঠেলায় টেকা যায় না। পুরসভা তৎপর না হলেও মশার উপদ্রব বাড়বে।’’ শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দনগরের বাসিন্দা জহর চৌধুরী বলেন, “আমাদের ওয়ার্ডে সারা বছর নিকাশি সমস্যা। ইদানীং মশার দাপটে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি। আমি চাই, এখানে দ্রুত সাফাই অভিযান চালানো হোক।”

শহরের বাসিন্দাদের দাবি, শহরের রেল এলাকার পরে পুর এলাকায় অভিযান শুরু হলে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়বে। তাই নিয়মিত সাফাই অভিযান চালানো প্রয়োজন। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মেহবুব নগরের বাসিন্দা শেখ মুন্না, শেখ আনোয়াররাও বলছিলেন, “নর্দমা আবর্জনায় অবরুদ্ধ। সারাবছর পরিষ্কার হয় না। ওই জলেই মশার লার্ভা জন্মাচ্ছে।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘ওয়ার্ডে অনেকের ডেঙ্গি হচ্ছে বলে শুনেছি। তারপরেও এলাকার মশা মারার তেল স্প্রে করা বা ধোঁয়া দেওয়া হয়নি। ডেঙ্গি রোধে পুরসভার আরও তৎপর হওয়া দরকার।”

শহরের প্রান্তবর্তী এলাকাগুলিতেও নিকাশির হাল তথৈবচ। কোথাও নালার অভাব। আবার কোথাও মাঝপথেই নালা শেষ হয়ে যাওয়ায় নোংরা জলে ভাসে মাঠ-রাস্তা। ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের তলঝুলির বাসিন্দা মহাদেব মণ্ডল বলেন, “ফাঁকা জমিতে নিকাশি নালার জল জমে থাকছে। কয়েকটি জায়গায় নিকাশি নালাও নেই। দ্রুত অনেক শ্রমিক নামিয়ে সাফাই অভিযান প্রয়োজন।”

এ নিয়ে খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “আমরা সব ওয়ার্ডেই এ ভাবে ৩০-৪০ জন শ্রমিক দিয়ে সাফাই অভিযান চালাব। যেখানে ডেঙ্গির প্রকোপ সবচেয়ে বেশি সেই অনুযায়ী সোমবার অভিযানের তালিকা তৈরি করা হবে। সেই সঙ্গে সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।’’ ওয়ার্ড পরিচ্ছন্ন রাখতেও কাউন্সিলরদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রদীপবাবু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE