Advertisement
০২ মে ২০২৪

খোলা ট্রান্সফর্মারে বিপদের আশঙ্কা

খোলা ট্রান্সফর্মারের বক্স। বিপজ্জনকভাবে ইতিউতি ঝুলছে বিদ্যুতের তার। ঝড়-বৃষ্টির সময় যে কোনও সময় বিপদের আশঙ্কা থাকলেও উদাসীন প্রশাসন।

বিপজ্জনক: খড়্গপুরে এ ভাবেই খোলা পড়ে ট্রান্সফর্মার। নিজস্ব চিত্র

বিপজ্জনক: খড়্গপুরে এ ভাবেই খোলা পড়ে ট্রান্সফর্মার। নিজস্ব চিত্র

দেবমাল্য বাগচী
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৭ ০২:১৮
Share: Save:

খোলা ট্রান্সফর্মারের বক্স। বিপজ্জনকভাবে ইতিউতি ঝুলছে বিদ্যুতের তার। ঝড়-বৃষ্টির সময় যে কোনও সময় বিপদের আশঙ্কা থাকলেও উদাসীন প্রশাসন।

খড়্গপুর শহরের অধিকাংশ রাস্তার ধারেই চোখে পড়বে, ট্রান্সফর্মার থেকে ঝুলছে ‘হাই ভোল্টেজ’ বিদ্যুতের তার। ট্রান্সফর্মারের সঙ্গে লাগানো ফিউজের কাট-আউটও থাকা আঢা়কাই। বৃষ্টির জল লাগছে ফিউজে। এর থেকে বিভিন্ন এলাকায় শট-শার্কিটের ঘটনাও ঘটছে। এ ছাড়া জনবহুল এলাকায় ফিউজে হাত লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। শহরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ দফতর সব জানলেও কোনও কাজ করে না।

খড়্গপুর শহরের কয়েকটি এলাকায় ট্রান্সফর্মারের বক্স বসানোর কাজ হয়েছে। তবে খরিদা, মালঞ্চ, ঘোষপাড়া, ঝাপেটাপুর, যুব সঙ্ঘ এলাকায় এখনও ট্রান্সফর্মারের ফিউজ উন্মুক্তই পড়ে রয়েছে। কোথাও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বক্স খোলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে আবার কোথাও বক্স থাকলেও মরচে ধরে ভেঙে গিয়েছে।

জনবহুল মালঞ্চ রোডের ফটকবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, ট্রান্সফর্মার বিপজ্জনকভাবে রয়েছে। মাঝে মধ্যে ঝড়-বৃষ্টিতে ট্রান্সফর্মার থেকে আগুনের ফুলকি বেরোয় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। ভেঙে গিয়েছে ফিউজ বক্সও। পাশের এক হোটেলের মালিক কল্পনা ঘোষ বলেন, “বিদ্যুৎ দফতরের লোকেরা তো মাঝে মধ্যেই এখানে লাইন মেরামতির কাজে আসেন। ওঁরা তো সব দেখছে। কিন্তু এ ভাবেই উন্মুক্ত ফিউজ ও তার পড়ে রয়েছে। এর থেকে যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।”

ট্রান্সফর্মারের খুঁটিতে লাগানো পথবাতির ফিউজের কাট আউটও খোলা পড়ে থাকে। খরিদার ঘোষপাড়া এলাকায় একটি ট্রান্সফর্মারের ভাঙাচোরা বক্স খোলা অবস্থায় দীর্ঘদিন পড়ে থাকলেও বিদ্যুৎ দফতরের হুঁশ নেই বলে অভিযোগ।

এলাকার বাসিন্দা গৌরাঙ্গ মোহান্তি বলেন, “পাড়ায় ছোট-ছোট ছেলেরা খেলাধুলো করে। অসাবধানতাবশত কোনও ভাবে উন্মুক্ত ফিউজে হাত লেগে গেলে বড় বিপদ ঘটতে পারে। কিন্তু কারও হেলদোল নেই।”

এ নিয়ে খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “সত্যিই শহরে এটি বড় সমস্যা। কিন্তু এটা বিদ্যুৎ দফতরের দেখার বিষয়। তবে সমস্যা সমাধানে নিশ্চয় বিদ্যুৎ দফতরে আবেদন জানাব।”

বিদ্যুৎ দফতরের খড়্গপুরের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার তন্ময় মহাপাত্র বলেন, “শহরের বিভিন্ন এলাকায় সমীক্ষা করে ধীরে ধীরে সব ট্রান্সফর্মারের বক্স বসানোর কাজ করা হচ্ছে।’’ তাঁর কথায়,‘‘ অনেক এলাকায় এই কাজ হয়ে গিয়েছে। এখনও ৪০টি ট্রান্সফর্মারের কাজ বাকি। সেগুলিতেও দ্রুত বক্স বসানোর চেষ্টা করব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Transformers
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE