—প্রতীকী চিত্র।
রেললাইনে দেহ মিলেছিল এক তরুণের। পরিজনেরা শনাক্ত করার পর জানা গেল, এ বার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার খড়্গপুর শহরের খরিদা ঘোষপাড়ার বাসিন্দা ওই তরুণের মৃতদেহ শনাক্ত করেছে তার পরিবার। বুধবার ভোরে খড়্গপুর ও গিরিময়দান স্টেশনের মাঝে রেললাইনে সেই দেহ উদ্ধার করেছিল রেলপুলিশ। মৃতের নাম আনমোল তিওয়ারি (১৮)। খড়্গপুর শহরের হিজলি হাইস্কুলের ওই ছাত্র এ বার উচ্চ মাধ্যমিকে অকৃতকার্য হয়েছেন বলে স্কুল সূত্রে খবর। তবে ফল ঘোষণার আগেই রেললাইনে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। প্রথমে পরিচয় জানা যায়নি। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায় রেল পুলিশ। এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ পেয়ে রেল পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে তরুণের পরিবার।
প্রাথমিকভাবে ট্রেনের ধাক্কায় ওই তরুণের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছে রেল পুলিশ। তবে ঘটনাটি আত্মহত্যা না রেললাইন পেরোতে গিয়ে ঘটেছে তা স্পষ্ট নয়। রেল পুলিশের দাবি, খড়্গপুর-গিরিময়দানের মাঝে যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে রেললাইন পারাপারে কোনও রাস্তা নেই। সাধারণত খড়্গপুর স্টেশনের একেবারে জংশন পয়েন্টের ওই এলাকায় সাধারণ মানুষের যাতায়াতের প্রয়োজনও নেই। তাহলে কেন সেখানে গিয়েছিল আনমোল, তা নিয়ে ধন্দ দেখা দিয়েছে।
ওই ছাত্রের স্কুলের প্রধান শিক্ষক রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। বৃহস্পতিবার দুপুরের পরে আমাদের স্কুলে খবর আসায় আমরা জানতে পারি। পরে দেখা যায় আনমোল তিওয়ারি নামে আমাদের এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রয়েছে যে অকৃতকার্য হয়েছে। কিন্তু ওই ছাত্রটি উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের অনেক আগেই মারা গিয়েছে।” আনমোলের দাদা খুশবন্ত তিওয়ারি বলেন, “ভাই বুধবার ভোরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। তখন তো উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশই হয়নি। কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটে গেল, আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy