Advertisement
২৭ জুলাই ২০২৪
Debangshu Bhattacharya

শুভেন্দুর নন্দীগ্রামে বিজেপির বিক্ষোভের মুখে দেবাংশু, পথ আটকে দেওয়া হল ‘চোর’ স্লোগান

ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জেলেমারা ৩৭ নম্বর ও বৃন্দাবনপুর ৩৬ নম্বর বুথ এলাকায় গেলে দেবাংশুর পথে আটকে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা।

ভোটপ্রচারে নন্দীগ্রামে গিয়ে বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন দেবাংশু ভট্টাচার্য।

ভোটপ্রচারে নন্দীগ্রামে গিয়ে বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
নন্দীগ্রাম শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:৪৫
Share: Save:

ভোটপ্রচারে নন্দীগ্রামে গিয়ে বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। অভিযোগ, পথ আটকে তাঁকে ঘিরে ‘চোর, চোর’ স্লোগান দিয়েছেন পদ্মকর্মীরা। তৃণমূলের কর্মীরাও পাল্টা স্লোগান দেন। ওই ঘটনার পর দেবাংশু বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামে নোংরা রাজনীতির খেলা শুরু করেছে বিজেপি। এ বারের লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের হার নিশ্চিত জেনেই বিজেপির লোকজন এ ভাবে অসম্মান করছে। ভোটের বাক্সে তৃণমূল এর যোগ্য জবাব দেবে।’’

বুধবার ভোটপ্রচারে নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের একাধিক এলাকায় যান দেবাংশু। ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জেলেমারা ৩৭ নম্বর ও বৃন্দাবনপুর ৩৬ নম্বর বুথ এলাকায় গেলে দেবাংশুর পথে আটকে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। অভিযোগ, ‘চোর’ স্লোগান দেওয়া হয়। তৃণমূল কর্মীরা কোনও ক্রমে ওই এলাকা থেকে দেবাংশুকে নিয়ে বেরিয়ে যান। তৃণমূল সূত্রে খবর, দেবাংশুর নির্দেশে কোনও প্ররোচনাতেই পা দেননি অনুগামীরা।

পরে দেবাংশু বলেন, ‘‘এক সময় এই নন্দীগ্রামে একচেটিয়া দাপট দেখাত শুভেন্দু অধিকারী। এখন এলাকায় তাঁর সেই দাপট উধাও। ভেকুটিয়ায় কতিপয় বিজেপি কর্মীকে রাস্তায় লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে ঝামেলা পাকানোর জন্য। তারা তৃণমূল কর্মীদের প্ররোচিত করছিল ঝামেলায় জড়ানোর জন্য। তবে তৃণমূলীরা মাথা ঠান্ডা রেখে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন।’’ দেবাংশুর দাবি, ‘‘এ বারের নির্বাচনে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে এক লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতবে তৃণমূল। নিজেদের পায়ের তলার মাটি হারিয়ে বিজেপি এখন তাই নোংরা খেলায় নেমেছে।’’ এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবেন বলেও জানা গিয়েছে।

তবে এই ঘটনাকে এলাকাবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ বলেই দাবি করেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা প্রলয় পাল। প্রলয়ের দাবি, “গোটা তৃণমূল দলটাই চোর। হাজার হাজার মানুষকে টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দিয়েছে তাঁরা। সেই দলের প্রতিনিধি দেবাংশু। তাই তাঁকে এলাকায় দেখতে পেয়েই চোর চোর বলে গ্রামবাসীরা তাড়া করেছিলেন। ওদের সৎসাহস থাকলে এলাকায় দাঁড়িয়ে প্রমাণ করে দেখাক ওরা চোর নয়। আবাসের টাকা, আমপানের টাকা, ১০০ দিনের টাকা সবেতেই লুটপাট চালিয়েছে তৃণমূল। এই দলের লোকজনদের দেখলেই চোর চোর বলে তাড়া করা উচিত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE