দিনে দিনে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ডেঙ্গি রোধে মেদিনীপুর শহরের সর্বত্র তেল, ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হচ্ছে বলে দাবি পুরসভার। যদিও শহরের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, নিকাশি নালার আবর্জনা পরিষ্কারে হেলদোল নেই পুরসভার। মশা মারার তেলও নিয়মিত দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ।
শহরের হাতারমাঠ এলাকার একটি ক্লাবের সদস্যরাই এলাকায় ব্লিচিং পাউডার, তেল ছড়াতে উদ্যোগী হলেন। গত রবিবার হাতে ঝাঁটা নিয়ে ক্লাব সদস্যরা হাতারমাঠ এলাকা পরিষ্কার করেন। খবর পেয়ে সেখানে যান উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান। তিনি বলেন, “আমরা চাই সাধারণ মানুষ এ ভাবেই সচেতন হয়ে উঠুন। স্বাস্থ্য দফতরও এ ব্যাপারে সব জায়গাতেই পদক্ষেপ করছে।”
ক্লাবের সদস্য তিলক মুখোপাধ্যায় বলেন, “পাড়ায় একের পর এক ব্যক্তি জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। কারও কারও ডেঙ্গি হয়েছে বলে শুনেছি।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘আমারও ডেঙ্গি হয়েছিল। সদ্য সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছি। পুরসভা কিছুই করছে না। আর যাতে রোগ না ছড়াতে পারে, তাই আমরাই উদ্যোগী হয়েছি।” ক্লাবের সদস্য ব্যবসায়ী বরুন অগ্রবালের দাবি, “পাড়ায় একজনের ডেঙ্গি হয়েছিল নিশ্চিত। এর থেকেই পরিষ্কার এখানে ডেঙ্গির মশা রয়েছে। বাধ্য হয়ে এই কাজে নামলাম।”
শহরের সর্বত্র মশা মারার তেল স্প্রে করার কথা জানিয়েছিল পুরসভা। অভিযোগ, তারপরেও হাতার মাঠের মতোই বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত স্প্রে হওয়া হয় না। আবর্জনাও পরিষ্কার হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে উপ-পুরপ্রধান জিতেন্দ্রনাথ দাসের দাবি, “পুরসভায় পর্যাপ্ত তেল রয়েছে। কেন্দ্রীয় ভাবে দিনে চারটি করে ওয়ার্ডে স্প্রে চলছে। কাউন্সিলরদেরও বলা হয়েছে। বিক্ষিপ্তভাবে কোথাও স্প্রে না হলে, পুরসভাকে জানালে দ্রুত পদক্ষেপ করব।”