দিঘায় পর্যটকদের ভিড়। —নিজস্ব চিত্র।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রবল তাপপ্রবাহের জন্য এক মরসুমে দ্বিতীয় বার গ্রীষ্মের ছুটি ঘোষণা করেছেন। এরই জেরে দিঘায় হোটেলের রুমের বুকিংয়ের ধুম পড়েছে।
গ্রীষ্মের প্রথম ছুটিতে দিঘায় জনসমাগম হয়েছিল। এখনও অনেক পর্যটক দিঘায় রয়েছেন। এরই মধ্যে ৩০ জুন পর্যন্ত গরমের বাড়তি ছুটি ঘোষণা করায় অনেক পর্যটকেরাই দিঘায় আসতে চাইছেন। দিঘা হোটেল মালিক সংগঠনের অন্যতম কর্তা দেবব্রত দাস বলেন, “বুকিংয়ের জন্য হোটেল গুলোতে প্রচুর ফোন আসছে।’’ অনেক হোটেলের বুকিং অফিস কলকাতায় রয়েছে। সেখানেও চিত্রটা একই।
শুধু দিঘা নয়। শঙ্করপুর, মন্দারমণি ও তাজপুর পর্যটন কেন্দ্রেও হোটেলের রুমের বুকিংয়ের জন্য ধুম পড়েছে। তাজপুরের এক হোটেল মালিক বলেন, “বেশির ভাগ পর্যটক এসি রুম বুক করতে চাইছেন। কিন্তু লো ভোল্টেজের জন্য আমরা একটু বিপাকে পড়েছি।’’ স্থানীয় সূত্রের খবর, মন্দারমণির হোটেল-রিসর্টগুলিতে এসি ঘর নিয়েও পুরোপুরি সমস্যা এড়াতে পারছেন না পর্যটকেরা। অভিযোগ, লো ভোল্টেজের কারণে সন্ধ্যায় ঘণ্টা তিনেক এসি বন্ধ করছেন কর্তৃপক্ষই। তখন হোটেলের ঘরের আলোও দপ দপ করে। চলে না টিভিও।
পর্যটকদের ভিড় প্রসঙ্গে মন্দারমণির এক হোটেল মালিক বলেন, “আষাঢ়ের এই সময়ে সাধারণত বৃষ্টি এসে যায়। যাঁরা বৃষ্টি ভালোবাসেন তাঁরা আগে থেকেই বুকিং করে রেখেছেন। কিন্তু গরমের ছুটির জন্য ফের রুম বুকিং করতে চাইছেন পর্যটকরা। কী করবো ভাবছি।’’
নতুন করে রুমের চাহিদা বাড়ায় যাতে বাড়তি ভাড়া না নেওয়া হয়, সে দিকে নজর রাখছে হোটেল মালিকদের সংগঠন। কারণ, শেষবার দিঘার প্রশাসনিক বৈঠকে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় হোটেল মালিকদের সতর্ক করে বলে গিয়েছিলেন, “বাড়তি ভাড়া নেওয়া যাবে না। কারণ পর্যটকরা অতিথি।’’
দিঘায় ভিড় হওয়ায় খুশি ব্যবসায়ীরাও। ওল্ড দিঘায় খাওয়ারের দোকান রয়েছে চন্দন মাইতির। তিনি বলেন, “গরমের সময় এতো পর্যটক আগে দিঘায় দেখিনি। এই বছর দিঘায় ভিড় লেগেই রয়েছে।’’ দিঘার এক ব্যবসায়ীর সহাস্য মন্তব্য, ‘‘গরমে স্কুলে আচমকা ছুটি পেয়ে পড়ুয়ারা যদি বাবা-মায়ের সঙ্গে দিঘায় আসে তা হলে ভালই তো।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy