শনিবারই খড়্গপুরে আসছেন বিজেপি সাংসদ। ফাইল চিত্র
বিধানসভা উপ-নির্বাচন শিয়রে। তার আগে বিপর্যয় কাটিয়ে রেলশহরে দলকে চাঙ্গা করতে মাঠে নেমেছেন তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। নিশানা করেছেন স্থানীয় সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে।
এ বার শহরের উন্নয়নে দিলীপ ঘোষের ভূমিকা তুলে ধরতে, সেই সঙ্গে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে পাল্টা প্রচারে পথে নামতে চলেছে বিজেপি। নিজের ‘খাসতালুক’ খড়্গপুরে সেই প্রচারে শামিল হয়ে মানুষের কাছে যাবেন দিলীপ নিজেই। আজ, শনিবারই খড়্গপুরে আসছেন বিজেপি সাংসদ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে ‘দিদিকে বলো’ জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করেছে তৃণমূল। তার পাল্টা হিসেবে রাজ্য সভাপতিকে সামনে রেখে ‘চা চক্রে দিলীপদা’ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছে বিজেপি। তবে বিজেপি সূত্রে খবর, এই কর্মসূচির বাইরেও খড়্গপুরে আলাদা ভাবে জনসংযোগ চালাবেন দিলীপ। এ বিষয়ে দিলীপের বক্তব্য, “আমি খড়্গপুরে গেলেই মানুষের সঙ্গে কথা বলি। সামনে উপ-নির্বাচন রয়েছে। আমি ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে খড়্গপুরে কিছু উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বিষয়ে কথা বলেছি। তবে এর আগে উন্নয়ন করতে দেবে না বলে আমার বিধায়ক তহবিলের টাকা আটকে দিয়েছিল তৃণমূল। আমি স্কুলগুলিকে সেই টাকা দিয়েছি। এগুলি মানুষকে আবারও জানাব।”
২০১৬ সালে এই খড়্গপুর কেন্দ্র থেকে জিতেই বিধায়ক হয়েছিলেন দিলীপ। তারপর এ বার ফের লোকসভা ভোটে জিতে সাংসদ হয়েছেন দিলীপ। খড়্গপুর তাঁকে লিড দিয়েছে ৪৫ হাজার ভোটের। তারপরই রেলশহরে সংগঠন গোছাতে আসরে নেমেছেন শুভেন্দু। দফায় দফায় বৈঠক করছেন। দিন কয়েক আগেই খড়্গপুরের টাউনহলে কর্মিসভায় দিলীপ ঘোষ শহরের উন্নয়ন করেননি বলে অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু। রেলের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে আগামী ২৭ অগস্ট ডিআরএম অফিসের সামনে অবস্থানেরও ডাক দিয়েছেন তিনি।
এ সবের পাল্টা হিসেবেই দিলীপ শহরের জন্য কী করেছেন ও উন্নয়নের কাজে তৃণমূলের পুরসভা কী ভাবে অসহযোগিতা করেছে তা তুলে ধরবে বিজেপি। আজ, শনিবার দিলীপের সঙ্গে আলোচনায় বসে সেই প্রচার কর্মসূচির রূপরেখা তৈরি করা হবে। শহরের বাসিন্দা বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি গৌতম ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা মানুষের কাছে গিয়ে শহরে দিলীপদার অবদানের কথা প্রচার করব। বিধায়ক তহবিলের টাকা নিতে না চেয়ে জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে উন্নয়ণের কাজে পুরপ্রধান যেভাবে বাধা দিয়েছেন তা আরও একবার বলব। দিলীপদার সঙ্গে আলোচনা করে প্রচার কৌশল ঠিক করব।”
খড়্গপুরের বাসিন্দা বিজেপির রাজ্য নেতা তুষার মুখোপাধ্যায়েরও বক্তব্য, “দিলীপদাকে যে ভাবে উন্নয়নে বাধা দিয়েছে তৃণমূল সেটা মানুষ জানে। আমরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে আবারও জানাব। ঘরের মানুষ হিসাবে দিলীপদাও খড়্গপুরের মানুষের কাছে যাবেন। তার আগে শুভেন্দু অধিকারী বরং ওঁদের দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করুন।” দিলীপ অবশ্য শুভেন্দুকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাঁর বক্তব্য, “শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে আমার কোনও ভাবনা নেই। লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘দিদিমণি’ খড়্গপুরে সাতদিন ছিলেন। ঝড়ের সময়েও ছিলেন। কী লাভ হয়েছে। ঝড়ে তো ওঁর দলটাই উড়ে গিয়েছে!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy