Advertisement
১১ অক্টোবর ২০২৪
Dilip Ghosh

বিজেপির ‘আইন অমান্য আন্দোলনে’ মেদিনীপুরে উত্তেজনা, দিলীপের দাবি, ‘মিথ্যা কেস’ দিচ্ছে পুলিশ!

এসপি অফিসের সামনে পুলিশি বাধায় দিলীপ ঘোষরা আর এগোতে পারেননি। তাঁরা বেশ কিছু ক্ষণ রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার নিজে ঘুরে দেখেন পরিস্থিতি।

Dilip Ghosh

মেদিনীপুরে দিলীপ ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:৩৫
Share: Save:

রাজ্য ও জেলার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে এসপি অফিসের সামনে ‘আইন অমান্য আন্দোলন’-এর কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি যুব সংগঠন। সোমবার দুপুরের সেই কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তেজনা মেদিনীপুরে এসপি অফিসের সামনে। স্থানীয় বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, ভোট এলেই তাঁদের কর্মীদের মিথ্যা অভিযোগে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে তাঁরা আন্দোলন শুরু করেছেন। বস্তুত, এসপি অফিসের সামনে পুলিশি বাধায় দিলীপরা আর এগোতে পারেননি। তাঁরা বেশ কিছু ক্ষণ রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার নিজে ঘুরে দেখেন পরিস্থিতি। অন্য দিকে, দিলীপের হুঁশিয়ারি, তাঁদের আন্দোলন জারি থাকবে।

বিজেপি জানিয়েছে, রাজ্য জুড়ে অপশাসন, পুলিশি অত্যাচার এবং তাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া ইত্যাদি বেশ কিছু অভিযোগ নিয়ে সহ একাধিক অভিযোগ তুলে বিজেপির যুব মোর্চা ‘আইন অমান্য’ কর্মসূচির আয়োজন করছে। মেদিনীপুরের এলআইসি মোড়ে এই কর্মসূচির সূচনায় ছিলেন সাংসদ দিলীপ। এ ছাড়াও বিজেপির জেলা সভাপতি সুদাম পণ্ডিত, যুব মোর্চার জেলা সভাপতি আশীর্বাদ ভৌমিক প্রমুখের নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয়। এসপি অফিসের দিকে তাঁরা এগিয়ে গেলে অফিসের গেটে পুলিশ বাধা দেয়। পরে দিলীপ বলেন, ‘‘আমাদের পার্টির গণতান্ত্রিক অধিকার লুট করা হচ্ছে। কর্মসূচির জন্য অনুমতি চাইলে দেয় না। আবার বিনা অনুমতিতে কর্মসূচি করলে ‘কেস’ দেয়। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তোলা হচ্ছে। গোয়ালারা গরু-মোষ বাইরে থেকে নিয়ে আসছে রসিদ দিয়ে। সেগুলো লুট করে নিচ্ছে পুলিশ। এখানে পুজো উদ্বোধন থেকে খেলার উদ্বোধন এসপি করেন। এর বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলনে নেমেছি। ভোট এলেই পুরনো কেস দিয়ে বিজেপি কর্মীদের জেলে ঢোকানো হয়। এর বিরুদ্ধে আমরা পথে নেমেছি।’’

বিজেপির কর্মসূচির আগে এসপি অফিস সংলগ্ন ২০০ মিটার পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি হয়। যদিও প্রশাসনের তৎপরতাকে পাত্তা না দিয়ে দিলীপ ঘোষরা এগিয়ে যান। বিজেপি জেলা মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, ‘‘পুলিশ একটা প্ররোচনা তৈরির চেষ্টা করছে। আমরা কেউ পুলিশের প্ররোচনায় পা দেব না। সে যত খুশি আপনারা সিসি ক্যামেরা লাগান।’’

অন্য দিকে, বিজেপির কর্মসূচি নিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, ‘‘প্রশাসনের কাজ মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া। আর বিজেপি নেতারা বুঝে গিয়েছেন, কর্মসূচিতে লোকজন তেমন হবে না। তাই বাইরে থেকে কিছু গুন্ডা আমদানি করতে পারে। সেই গুন্ডাদের দিয়ে ভাঙচুর করাতে পারে— এটা আঁচ করে আগেভাগে প্রশাসন তৈরি ছিল।’’

অন্য বিষয়গুলি:

BJP police midnapore
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE