Advertisement
E-Paper

flood: বন্যা সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় জল

শনি থেকে সোম, তিন দিনে কার্যত অঝোরে বৃষ্টি হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। কখনও হালকা, কখনও মাঝারি। বৃষ্টিতে বিভিন্ন চাষ ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০৯:২৪
ডুবে ধান। মেদিনীপুর ।

ডুবে ধান। মেদিনীপুর ।

এখনও ডুবে রয়েছে জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার চাষজমি। উদ্বিগ্ন চাষিরা। কেশপুরের রমেশ দাস বলছেন, ‘‘জল-কাদায় মাঠেই ধান নষ্ট হয়েছে। প্রচুর ক্ষতি হয়ে গেল।’’ শালবনির শক্তিপদ হাজরার আক্ষেপ, ‘‘আবার অকাল বর্ষণ হল। এ ভাবে একের পর এক বিপর্যয় চলতে থাকলে আমরা কোথায় যাব!’’

শনি থেকে সোম, তিন দিনে কার্যত অঝোরে বৃষ্টি হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। কখনও হালকা, কখনও মাঝারি। বৃষ্টিতে বিভিন্ন চাষ ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। কৃষি দফতরের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, জেলায় প্রায় এক লক্ষ হেক্টরেরও বেশি জমির চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে যেমন ধান, আলু রয়েছে, তেমন রয়েছে ডালশস্য, সর্ষে প্রভৃতি। জেলাশাসক রশ্মি কমল মানছেন, ‘‘নাগাড়ে বৃষ্টিতে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে অনেক জমিতে।’’ জেলার উপ- কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) দুলাল দাস অধিকারীও বলেন, ‘‘অনেক জমিতে জল রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

সদ্য কিছু জমিতে আলু লাগানো হয়েছিল। সে সব নষ্টের মুখে। মাঠে কেটে রাখা ধান জলে ভাসছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে প্রশাসনের কাছে আবেদন রেখেছেন চাষিরা। গত কয়েক মাসের মধ্যেই একাধিকবার বন্যা হয়েছে জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায়। সেই ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াবেন বলে ভেবেছিলেন অনেক চাষি। আচমকা নিম্নচাপের জেরে জমি এখন জলের তলায়। জমিতে থাকা প্রায় সব ফসল নষ্ট হওয়ার মুখে। অনেকে লাভের আশায় ধারদেনা করে চাষের কাজে হাত দিয়েছিলেন। আচমকা দুর্যোগ তাঁদের সমস্ত আশায় জল ঢেলে দিয়েছে। অকাল বর্ষণে অনেক চাষের জমিতে অন্তত ৬ ইঞ্চি করে জল জমে গিয়েছে।

কৃষি দফতর সূত্রে খবর, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে এলাকা পরিদর্শনে নেমেছেন আধিকারিকেরা। রাজ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। দফতরের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, জেলায় প্রায় ১,০৩,৪৭৫ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কমবেশি। এর মধ্যে প্রায় ৭০ হাজার হেক্টরে ধান, প্রায় ১৮ হাজার হেক্টরে আলু চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ৫,৫৩০ হেক্টর জমির ডালশস্য এবং প্রায় ৯,৯৪৫ হেক্টরে সর্ষে চাষও ক্ষতির মুখে পড়েছে। জেলার এক কৃষি আধিকারিকের মতে, ‘‘রোদ ওঠার তিন- চার দিন পরে বোঝা যাবে ক্ষয়ক্ষতি ঠিক কতটা হল।’’

গত রবিবার এবং সোমবার, এই দু’দিনে পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রায় ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তেমন বৃষ্টি না- হলেও মঙ্গলবার দিনের বেশিরভাগ সময়েই মেদিনীপুরের আকাশ ছিল মেঘলা। মাঝেমধ্যে রোদের দেখা মিলেছে।

Farmers
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy