Advertisement
E-Paper

স্কুলে তৃণমূলের শীতলা পুজোয় ভোগ দিল ছাত্রছাত্রীরা

সোমবার স্কুলে শীতলা পুজোর এই ভোগই মজা করে খেল উপস্থিত গোটা কয়েক পড়ুয়া।

দেবমাল্য বাগচী

শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০৫:৪০
পাত পেড়ে চলছে প্রসাদ খাওয়া। সবংয়ের মশাগ্রামে। —নিজস্ব চিত্র।

পাত পেড়ে চলছে প্রসাদ খাওয়া। সবংয়ের মশাগ্রামে। —নিজস্ব চিত্র।

মিড ডে মিল তো রয়েছে। সঙ্গে উপরি পাওনা, ভাত, ডাল, বাঁধাকপির ঘন্ট, ফুলকপির তরকারি, মিক্সড ভেজ, মাছের ঝোল, চাটনি ও পায়েস। সোমবার স্কুলে শীতলা পুজোর এই ভোগই মজা করে খেল উপস্থিত গোটা কয়েক পড়ুয়া।

সবংয়ের মশাগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রবিবার থেকে তৃণমূলের উদ্যোগে শুরু হয়েছিল শীতলার মানত পুজো। দু’দিন ধরে পুজো। এ দিন আবার ছিল পাত পেড়ে ভোগ খাওয়ার ব্যবস্থা। আশঙ্কা ছিল, পুজোর জেরে পণ্ড হতে পারে পঠনপাঠন। কিছুটা হতেই সত্যি হল আশঙ্কা। স্কুলের পড়ুয়া সংখ্যা ৬৫। এ দিন উপস্থিত ছিল ১৪ জন প়ড়ুয়া। পুজোয় মাইক বাজেনি। স্কুল কর্তৃপক্ষেরও দাবি, ক্লাস হয়েছে নিয়মিত। যদিও স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, ক্লাস হয়েছে নমো নমো করে। এক স্থানীয় বাসিন্দা তথা অভিভাবক বলেন, ‘‘গ্রামের মধ্যে পুজো। পুজোর বিরোধিতা করছি না। নিজেও ভোগ খেয়ে এলাম। কিন্তু এই পুজো রবিবার, একদিন যথেষ্ট ছিল। এভাবে সপ্তাহের প্রথম দিনে স্কুল ব্যাহত হওয়ায় সত্যিই খারাপ লাগছে। কিন্তু নেতাদের পুজোয় প্রতিবাদ কে করবে!’’ প্রাথমিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ডলি দাস ভৌমিক বলেন, “পড়ুয়া উপস্থিতি একেবারে কম। পুজোর জন্যই হয়তো আসেনি। কিন্তু আমরা মিড-ডে মিলের আয়োজন করেছি।” প্রাথমিকের কিছুটা দূরেই রয়েছে হাইস্কুল। মশাগ্রাম শিবানন্দ বিদ্যাপীঠ। সেখানেও পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার ছিল ২৫ শতাংশ। মশাগ্রাম শিবানন্দ বিদ্যাপীঠের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শান্তুনু অধিকারী বলেন, “পড়ুয়া উপস্থিত অন্যদিনের তুলনায় যথেষ্ট কম। গ্রামের পুজোর কারনে কিনা বলতে পারব না।”

স্থানীয় সূত্রে খবর, এ বার পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে অনেক বাধা-বিপত্তি এড়িয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হয়। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান হয়েছেন এলাকায় মানস অনুগামী বলে পরিচিত অনিল সাঁতরা। তাঁকে প্রধান পদে দেখতেই মানত করেছিলেন মশাগ্রাম তৃণমূলের বুথ সভাপতি গোকুল মাইতি। স্কুল চলাকালীন এ ভাবে পুজোর আয়োজনকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। এ দিন এলাকায় গিয়েছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মাইতি। তিনি বলেন, “সত্যিই বিদ্যালয়ে পঠনপাঠনের পরিবেশ নেই দেখলাম। পড়ুয়া একেবারে কম এসেছে। এমন পুজোর কথা জানা ছিল না। দলীয় নেতৃত্ব থেকে প্রশাসনিক মহলে রিপোর্ট জানাব।” আর তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রভাত মাইতি বলেন, “এই ঘটনার বিরুদ্ধে আমি কড়া ব্যবস্থা নেব। জেলা নেতৃত্বকে জানাব।” কিছুটা সুর নরম করে এ গোকুল বলেন, “স্কুলে একটু অসুবিধা হল। কিন্তু আমরা মাইক বাজাইনি। স্কুল যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় সেই পরিবেশ রেখেছি।”

সুষ্ঠ পরিবেশেই বটে! ক্লাস নয়। পড়ুয়ারা ভিড় জমিয়েছিল পুজোর মণ্ডপে। কেউ কেউ আবার হাত লাগিয়েছিল পরিবেশনেও।

School TMC তৃণমূল
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy