ফাইল চিত্র।
খড়্গপুরে ভোটের মাঠে নজরদারি চালাতে ৭টি দল নামাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এরমধ্যে ৪টি এফএসটি, ৩টি এসএসটি। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি দলে একজন এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট-সহ অন্তত দু’জন করে অফিসার থাকবেন। একজন প্রশাসনের, অন্যজন পুলিশের। পুলিশের তরফে এসআই কিংবা এএসআই পদমর্যাদার অফিসার থাকবেন। কমিশনের এক আধিকারিকের দাবি, ‘‘ইতিমধ্যেই ওই দলগুলি গঠন করা হয়েছে। তারা কাজও শুরু করেছে।"
আগামী ২৫ নভেম্বর খড়্গপুর বিধানসভা উপ-নির্বাচন। বুধবারই ছিল মনোনয়নের শেষ দিন। আজ, বৃহস্পতিবার জমা পড়া মনোনয়নগুলি খতিয়ে দেখা হবে। আগামী সোমবার পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করা যাবে। তারপর প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা। রেলশহরে এ বার ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে বলে ধারণা অনেকের। ইতিমধ্যে সব দলই প্রচারে নেমে পড়েছে। অতীতে খড়্গপুরে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের ইতিহাস রয়েছে। তাই সেখানে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করানোটা কমিশনের কাছে অন্যতম চ্যালেঞ্জ।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, খড়্গপুরে ২৭০টি বুথ রয়েছে। ভোটার প্রায় ২ লক্ষ ২৫ হাজার। এখানে স্পর্শকাতর বুথ নির্বাচনে সমস্ত রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া হতে পারে। সবদিক খতিয়ে দেখেই ৪টি ‘ফ্লাইং স্কোয়াড টিম’ (এফএসটি) ও ৩টি ‘স্ট্যাটিক সার্ভেল্যান্স টিম’ (এসএসটি) নামানো হচ্ছে। এফএসটি টিম আদর্শ আচরণবিধি ঠিকঠাক মানা হচ্ছে কি না তা দেখবে। এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি ভোট দেওয়া নিয়ে সাধারণ মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর কাজও করবে। এসএসটি টিম এলাকায় নাকা-তল্লাশি চালাবে।
কমিশনের এক সূত্র মনে করিয়ে দিচ্ছে, নির্বাচন ঘোষণার পরে কোনও ব্যক্তি আয়ের উৎসের নথি ছাড়া ৫০ হাজারের বেশি টাকা নিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারেন না। সেই সংক্রান্ত তল্লাশিও শুরু হয়েছে। কমিশনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘তল্লাশি শুরু হয়েছে। ৫০ হাজারের বেশি টাকা-সহ ধরা পড়ে কেউ যদি প্রয়োজনীয় নথি দেখাতে না পারেন, তাকে গ্রেফতার করা হবে।" তাঁর দাবি, খড়্গপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy