কেনাকাটা চলছে মেদিনীপুর হসপিটার রোডে। নিজস্ব চিত্র।
জমজমাট ইদের বাজার। শেষবেলায় বৃষ্টি কিছুটা বিঘ্ন ঘটালেও ক্রেতাদের উৎসাহে ভাটা পড়েনি।
আগে মেদিনীপুরে জামাকাপড়ের জন্য একমাত্র ভরসা ছিল বড়বাজার। কিন্তু এখন হাল ফ্যাশনের জামাকাপড় নিয়ে হাজির বিভিন্ন সংস্থা। ঝাঁ চকচকে শপিং মলও নজর কাড়ছে ক্রেতাদের।
খুশির ইদে সকলেই নতুন পোশাক পরেন। শপিং মল হোক বা ছোট দোকান— মঙ্গলবার বেলা যত বেড়েছে, ভিড়ও বেড়েছে। মেয়ের আবদার মেটাতে ছাতা হাতেই ফুটপাথের দোকানে এসেছিলেন ফতেমা বিবি। তাঁর কথায়, “অন্যের দোকানে কাজ করে সংসার চলে। ইদের মুখেই তো টাকা দেয় মালিক। হাতে আর সময় নেই। তাই বৃষ্টিতেই কেনাকাটা করতে বেরোতে হয়েছে।”
বড়বাজার হোক বা বাসস্ট্যান্ড থেকে এলআইসি চক হয়ে হাসপাতাল রোডের ফুটপাথ— ক্রেতাদের ভিড় উপচে পড়ছে সপ্তাহখানেক ধরেই। ক্রেতাদের টানতে নিত্যনতুন ছাড়ের আকর্ষণ তো আছেই। ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মলয় রায়ের যুক্তি, “এক সময় যারা কলকাতায় জামা-কাপড় কিনতে যেতেন, এখন তাঁরা মলে, এক্সক্লুসিভ শোরুমে যান। যদিও বড়বাজারের খদ্দের এক্কেবারে আলাদা। শহর ছাড়িয়ে গাঁ-গঞ্জের মানুষেরও কেনাকাটার জায়গা এই বাজার।” একই কথা শাড়ি বিক্রেতা অশোক তাপাড়িয়ারও।
এ বার বাজার মাতাচ্ছে হ্যান্ডলুম ও জুট নেট। রয়েছে সিফন, জামদানি, মালাই পার্সির মতো শাড়িও। বাজিরাও মস্তানি, আনারকলি, পাকিস্তানি চুড়িদার, প্লাজার মতো রকমারি চুড়িদার, দোপাট্টাও মেয়েদের পছন্দ। সাহিন পরভিনের কথায়, “আমি তো বাজিরাও মস্তানি-সহ অনেকগুলি চুড়িদার কিনেছি। আমাদের তো এটাই আনন্দের সময়।”ছেলেদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন পাঞ্জাবি, জিন্স। তালেবুল ইসলাম বলছেন, “শুধু নিজে বা পরিবারের সকলের জন্য নয়, এই উৎসবে আত্মীয়স্বজনকে দেওয়ার জন্যও নতুন পোশাক কিনি।”
আকাশের মুখ যতই ভার হোক হোক, ইদের বাজারে অবশ্য দিনভর ছিল খুশির ঝিলিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy