ফের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে ঢোকায় সময় কুয়োয় পড়ে গেল একটি হাতি। বুধবার ভোরে গোয়ালতোড়ের জিরাপাড়ায় একটি মাঝবয়সী হাতি কুয়োয় পড়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে বন দফতরের লোকজন ঘটনাস্থলে চলে আসেন। চলে আসেন সিআরপিএফের জওয়ানরাও। প্রায় ছ’ঘণ্টার চেষ্টায় হাতটিকে কুয়ো থেকে তুলে স্থানীয় জঙ্গলে ঢুকিয়ে দেন দফতরের কর্মীরা। মঙ্গলবার ভোরেও গোয়ালতোড়েরই কেওয়াকোলে একটি হস্তিশাবক কুয়োয় পড়ে গিয়েছিল। পর পর দু’দিন ধরে একই এলাকায় কুয়োর মধ্যে হাতি পড়ে যাওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন বন দফতর। দফতরের ডিএফও (রূপনারায়ণ) অর্ণব সেনগুপ্ত বলেন, “জঙ্গলঘেঁষা কুয়োগুলির পাড় উঁচু করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সঙ্গে কৃষি ও সেচ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিকল্প সেচের ব্যবস্থা যাতে করা যায় তার চিন্তাভাবনাও চলছে।”
বন দফতর সূত্রের খবর, গত দু’-তিন দিন আগেই বাঁকুড়া থেকে ৯০-১০০টি হাতির পাল গড়বেতা হয়ে গোয়ালতোড়ে ঢুকে পড়ে। দলমার ওই পালটি গোয়ালতোড়ে ঢুকে দু’টি দলে ভাগও হয়ে যায়। একটি পাল স্থানীয় মহালিশাই ও অন্যটি গোয়ালতোড় রেঞ্জে ঘোরাফেরা করছে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে মহালিশাই রেঞ্জে থাকা হাতির পালটি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে জঙ্গল সংলগ্ন মাঠে নেমে আলু, সরষে সমেত বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি করে। পরে ভোরের দিকে লোকালয়ে ঢোকার সময়েই জিরাপাড়া গ্রামের একটি কুয়োতে হাতিটি পড়ে যায়। ঘটনার পরই পালের বেশির ভাগ হাতি কুয়ো সংলগ্ন এলাকাটি ঘিরে ফেলে। তত ক্ষণে খবর পেয়ে বহু মানুষের ভিড়ও জমে যায়। তখনই হাতিগুলি তাড়া করে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ঘটনায় দফতরের এক রেঞ্জার-সহ দু’জন আহত হয়েছেন। যদিও পরে হুলাপার্টির লোকজন হাতির ওই পালটিকে গভীর জঙ্গলে ঢুকিয়ে দেয়। শুরু হয় হাতিটিকে উদ্ধারের কাজ।
বন দফতর সূত্রের খবর, এ দিন হাতির আক্রমণে আহত জিরাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা প্রভাকর মালকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত রেঞ্জার মনসুর আলি মল্লিককে ভর্তি করা হয়েছে গোয়ালতোড় গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy