Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
nantu pradhan

পঞ্চায়েত অফিসে আক্রান্ত নান্টুর বাবা, ফাটল মাথা

ঘটনার পরে পঞ্চায়েত অফিস চত্বরে বোমাবাজি করতে করতে মোটর বাইকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।

ভেড়ির ক্ষোভে খুন হওয়া ভগবানপুরের দাপুটে তৃণমূল নেতা নান্টু প্রধান। —ফাইল চিত্র।

ভেড়ির ক্ষোভে খুন হওয়া ভগবানপুরের দাপুটে তৃণমূল নেতা নান্টু প্রধান। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ভগবানপুর শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:০২
Share: Save:

ভেড়ির ক্ষোভে খুন হয়েছিলেন ভগবানপুরের দাপুটে তৃণমূল নেতা নান্টু প্রধান। শুক্রবার দলের অঞ্চল অফিসের মধ্যেই আক্রান্ত হলেন নান্টুর বাবা চাঁদহরি প্রধান। এ দিন দুপুরে ভগবানপুর থানার মহম্মদপুর-১ পঞ্চায়েত এলাকায় এক দল দুষ্কৃতী লোহার রড ও অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে তাঁর উপরে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। সেইসঙ্গে এলাকায় বোমাবাজিও করে দুষ্কৃতীরা। জখম চাঁদহরি প্রধান-সহ দু’জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় তমলুক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ ও তৃণমূল সূত্রে খবর, এদিন সকাল থেকে চাঁদহরি-সহ চার জন দলীয় পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যে বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ফর্ম বিলির কাজ করছিলেন। দুপুর তিনটে নাগাদ পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যে ভিড় তখন অনেকটাই হাল্কা। সেই সময় সাত-আটজনের এক দুষ্কৃতী দল লোহার রড, বোমা, ভোজালি নিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে পড়ে। চাঁদহরি-সহ তিনজন পঞ্চায়েত সদস্যের উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। রডের আঘাতে মাথা ফাটে চাঁদহরির। মারধরে আহত হন আরও তিনজন। প্রাণভয়ে আলমারির পিছনে লুকিয়ে পড়েন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান।

ঘটনার পরে পঞ্চায়েত অফিস চত্বরে বোমাবাজি করতে করতে মোটর বাইকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। আহত চারজন তৃণমূল কর্মীকে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে ভগবানপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে চাঁদহরি-সহ তিনজনকে তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে রাতেই ভগবানপুর থানায় ১৬ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল।

প্রসঙ্গত, দু’ বছর আগে পর্যন্ত ভগবানপুরে তৃণমূলের বাহুবলী নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন নান্টু। তাঁর দাপটে বিরোধীরা কার্যত ভগবানপুরের মাটিতে দাঁত ফোটাতে পারেনি। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জনরোষের শিকার হয়ে খুন হন নান্টু। তারপর তাঁর বাবা চাঁদহরি মহম্মদপুর থেকে তৃণমূলের টিকিটে জিতে পঞ্চায়েত সদস্য হয়েছেন।

এদিনের হামলা নিয়ে ভগবানপুর-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মদনমোহন পাত্র অভিযোগ করেন, ‘‘পরিকল্পিত ভাবে বিজেপির আশ্রিত দুষ্কৃতীরা অস্ত্র, বোমা লোহার রড নিয়ে অফিসে ঢুকে হামলা চালিয়েছে। এলাকায় খুনের রাজনীতি করে বিজেপি ক্ষমতায় ফিরে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে। পুলিশের কাছে আমরা দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছি।’’

এবিষয়ে বিজেপির জেলা (তমলুক) সাংগঠনিক সভাপতি নবারুণ নায়েক বলেন, ‘‘এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। এর সঙ্গে আমাদের দলের কেউ জড়িত নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE