যান্ত্রিক গোলমালের জেরে সচিত্র পরিচয়পত্র ঘিরে বিভ্রান্তি ছড়াল কাঁথিতে। নতুন ভোটারেরা সচিত্র পরিচয়পত্র হাতে নিয়ে দেখলেন, চার বছর আগেই তাঁদের বয়স আঠারো হয়েছে।
সম্প্রতি দক্ষিণ কাঁথির প্রায় চারশো নতুন ভোটারের নাম তালিকায় উঠেছে। সচিত্র পরিচয়পত্র হাতে পেয়ে চক্ষু চড়ক গাছ নতুন ভোটারদের। কারণ, সেখানে এপিক কার্ড দেওয়ার তারিখ ২০১৮ এর পরিবর্তে ২০১৪ সাল লেখা রয়েছে। এর ফলে বয়স নিয়ে বিভ্রান্তির পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে অন্য সমস্যাও। ভোটার কার্ডের পেছনে নির্বাচন নিবন্ধন আধিকারিক হিসাবে কাঁথির মহকুমা শাসক শুভময় ভট্টাচার্যের নাম রয়েছে। শুভময় বর্তমানে মহকুমা শাসক। কিন্তু ২০১৪ সালে তিনি ওই পদে ছিলেন না।
কাঁথি ৩ ব্লকের রত্নমালা গ্রামের বিক্রম মাইতি এবার নতুন ভোটার হিসেবে এপিক কার্ড পেয়েছেন। তিনি বলেন, “যদি কখনও কেউ খতিয়ে দেখেন, তাহলে জানতে পারবেন, ২০১৪ সালে শুভময় ভট্টাচার্য মহকুমা শাসক ছিলেন না। সে ক্ষেত্রে আমার এপিক কার্ডের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যেতে পারে।’’ একই সমস্যা হয়েছে ওই বিধানসভার নতুন ভোটার দইসাই গ্রামের যুবক নবকুমার খুঁটিয়ার। তাঁর কথায়, “কেন্দ্র সরকারের কোনও চাকরি বা সেনা বাহিনীতে যোগ দিতে গেলে এপিক কার্ড খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। মহকুমা শাসকের কাছ থেকে স্থানীয় বাসিন্দার শংসাপত্র নেয় সেনা বাহিনী। ভোটার কার্ড অনুযায়ী বর্তমান মহকুমা শাসক ২০১৪ সাল থেকে কাঁথিতে চাকরি করছেন। কিন্তু বাস্তবে এটা ভুল। তাই এমন ভুলের জন্য আমার আবেদনটাই বাতিল হতে পারে।’’
কাঁথি মহকুমা শাসক দফতরের নির্বাচন সেল সূত্রে খবর, এপিক কার্ডগুলি তমলুকে ছাপা হয়। মেশিনের যান্ত্রিক গোলমালের জন্য ভুল তারিখ ছাপা হয়েছে। মহকুমা শাসক দফতর সূত্রে জানান হয়েছে, নির্বাচন সেলের কাছে আবেদন করলে গুরুত্ব সহকারে ভুল সংশোধন করা হবে। কাঁথির মহকুমা শাসক বলেন, “তারিখ ভুলের জন্য ভোট দানে কোনও অসুবিধা হবে না। তমলুকে জেলা নির্বাচন দফতর থেকে কার্ডগুলি ছাপানো এবং ল্যামিনেশান হয়। সেখানে কারিগরি সমস্যার জন্য এমনটা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট জায়গায় জানানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy