Advertisement
E-Paper

মেলায় আগুন, অল্পেতে রক্ষা

আনন্দ মেলার এক প্রান্তে টয় ট্রেনের তাঁবুতে আগুন লেগে যায়। মুহুর্তের মধ্যেই ধোঁয়ায় ভর্তি হয়ে যায় এলাকা। ক্রমশ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একসময় বিকট শব্দে রান্না করার গ্যাসের সিলিন্ডার ফাটে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:০৪
আগুন লাগার পরে। নিজস্ব চিত্র

আগুন লাগার পরে। নিজস্ব চিত্র

আনন্দ মেলায় অগ্নিকাণ্ড। বুধবার দুপুরে আনন্দ মেলার মাঠের এক প্রান্তে তাঁবুর মধ্য়ে রান্না করছিলেন টয় ট্রেনের কর্মী। হঠাৎই আগুন লাগল তাঁবুতে। তারপর ঘণ্টাখানেক ধরে যা চলল, তাতে প্রশ্ন উঠল মেলার অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে।

কখনও সশব্দে ফাটল তাঁবুতে থাকা সিলিন্ডার। কখনও আগুনের ফুলকি ছিটকে পড়ল একটি বাড়ির বারান্দায়। মেলা প্রাঙ্গণ জুড়ে চলল ছুটোছুটি। বিকেল বা সন্ধ্যায় যদি এ ঘটনা ঘটলে কী হত তা ভেবে শিউরে উঠছেন অনেকে।

১৬ জানুয়ারি থেকে ঘাটাল শহরের অরবিন্দ স্টেডিয়ামে চলছে ঘাটাল উৎসব ও শিশু মেলা। এছাড়া সেই স্টে়ডিয়াম ঘেঁষা মহিলা ছাত্রী নিবাসের ফাঁকা জমিতে বসেছে আনন্দ মেলা। নিয়ম করে ভিড় হচ্ছে সেই মেলায়। এ দিন ছুটির দিন থাকায় দুপুর থেকেই ভিড় বাড়ছিল। দুপুর তখন সাড়ে ১২টা। আনন্দ মেলার এক প্রান্তে টয় ট্রেনের তাঁবুতে আগুন লেগে যায়। মুহুর্তের মধ্যেই ধোঁয়ায় ভর্তি হয়ে যায় এলাকা। ক্রমশ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একসময় বিকট শব্দে রান্না করার গ্যাসের সিলিন্ডার ফাটে। আগুন ছিটকে পড়ে মেলা প্রাঙ্গণ ঘেষাঁ এক বাড়ির বারান্দায়। আগুন লেগে বারান্দায় ঝুলে থাকা কাপড় পুড়ে যায়। আগুন লাগে বিদ্যুতের তারেও। সিলিন্ডারের টুকরো লেগে পুরসভার পথবাতি ফেটে যায়। আগুনের তাপে ঝলসে যায় বিদ্যুতের খুঁটিতে থাকা কেবলের তার। আতঙ্কে শুরু হয়ে যায় ছুটোছুটি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও দমকল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, প্রথমে মেলা চত্বরে থাকা লোকজনই আগুন নেভাতে হাত লাগায়। পরে পুলিশ ও দমকল এসে ঘন্টাখানেক পরে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। কিন্তু মেলা চত্বরে কোনও জলের ব্যবস্থা না থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়। প্রাথমিক তদন্তে দমকলের অনুমান, রান্না করার সময় কোনও ভাবে আগুন লেগেছে। দমকলের এক আধিকারিক বলেন, “মেলা চত্বরে অগ্নিনিবার্পণের কোনও বন্দোবস্ত নেই।”

মেলা কমিটি সূত্রে জানানো হয়েছে, দমকলের ছাড়পত্র নিয়েই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু মেলায় ঘুরে দেখা গিয়েছে, অগ্নিনির্বাপণের তেমন কোনও বন্দোবস্ত নেই। যতটা জায়গায় মেলা হচ্ছে, সেখানে একদম ঠাসা দোকান। মেলার চারপাশেও রয়েছে দোকান। চলেছে আগুন জ্বালিয়ে রান্না।

এত অব্যবস্থা কেন? মেলা কমিটির সাধারণ সম্পদক তথা ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলই বলেন, “তেমন কিছু হয়নি। আগুন লেগেছিল ঠিক, তবে দমকল আসার আগেই আগুন নিভিয়ে দেওয়া হয়।”

মেলায় আসা এক দর্শক বললেন, ‘‘ছুটির দিনে দুপুরে মেলায় এসেছিলাম। তারপর যা অভিজ্ঞতা হল! বিকেলে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে কী হত তাই ভাবছি।’’

Ananda Mela Fire Ghatal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy