Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
কাঠগড়ায় মেডিক্যাল কলেজ

দগ্ধের মৃত্যু, চিকিৎসায় ত্রুটির নালিশ

ফের চিকিৎসার অবহেলায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যালে। মৃতের নাম অন্তরা প্রামাণিক (২২)। বাড়ি কেশিয়াড়ির বিষ্ণুনগরে। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়। তারপর রাতে হাসপাতালে লিখিত অভিযোগ জানান মৃতের পরিজনেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৭ ০০:৩৬
Share: Save:

ফের চিকিৎসার অবহেলায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যালে। মৃতের নাম অন্তরা প্রামাণিক (২২)। বাড়ি কেশিয়াড়ির বিষ্ণুনগরে। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়। তারপর রাতে হাসপাতালে লিখিত অভিযোগ জানান মৃতের পরিজনেরা। হাসপাতাল সুপার তন্ময়কান্তি পাঁজা বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে উপযুক্ত পদক্ষেপই করা হবে।”

অন্তরাদেবী মাস তিনেক আগে অগ্নিদ্বগ্ধ হয়েছিলেন। সেই সময়ে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি হয়েছিলেন। চিকিৎসার পরে গত ১৭ এপ্রিল সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। শুক্রবার ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাত-পা ফুলে প্রচণ্ড যন্ত্রণা শুরু হয়। বিকেলে পরিজনেরা অন্তরাদেবীকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে নিয়ে আসেন। ভর্তি করানো হয় বার্ন ওয়ার্ডে। ভর্তির পরে তাঁকে ওষুধ দেওয়া হয়। পরিজনেদের অভিযোগ, ওই ওষুধ খেয়ে তাঁর হেঁচকি ওঠে। কিছুক্ষণ পরেই তিনি মারা যান। মৃতের স্বামী প্রবীর প্রামাণিকের অভিযোগ, “কর্তব্যরত নার্স, ডাক্তাররা দায়িত্ব পালন করেননি। চিকিৎসায় চূড়ান্ত গাফিলতিতেই এই মৃত্যু।” মৃতের পরিজনেদের বক্তব্য, অন্তরাদেবী যখন ওয়ার্ডে ভর্তি হন, সেই সময়ে কোনও সিনিয়র ডাক্তার ছিলেন না। জুনিয়র ডাক্তাররা গুরুত্ব দেননি। সিনিয়র ডাক্তার যখন আসেন, তখন অনেকটা সময় পেরিয়ে যায়।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্যতম বড় সরকারি হাসপাতাল এই মেদিনীপুর মেডিক্যাল। অথচ, এই হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। মাঝেমধ্যে চিকিৎসার অবহেলায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগও ওঠে। মাস খানেক আগে মেদিনীপুর শহরের এক বাসিন্দা পেটে ব্যথা নিয়ে মেডিক্যালে ভর্তি হয়েছিলেন। ভর্তির কিছু পরেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের পরিজনেদের অভিযোগ ছিল, রোগী অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। অথচ ওয়ার্ডে থাকা জুনিয়র ডাক্তার-নার্সদের বিষয়টি জানানো হলেও তাঁরা কোনও কথা কানে তোলেননি। সপ্তাহ দুয়েক আগে চিকিৎসার গাফিলতিতে প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগও ওঠে এই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তারপর অন্তরাদেবীর মৃত্যুতেও ফের গাফিলতির অভিযোগ উঠল। প্রবীরবাবু বলছিলেন, “আমি চাই না অন্য কারও সঙ্গে একই ঘটনা ঘটুক। তাই হাসপাতালে অভিযোগ জানিয়েছি। সুবিচার প্রার্থনা করেছি।” হাসপাতাল সুপার তন্ময়বাবুর আশ্বাস, “ঘটনার যথাযথ তদন্তই হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE