লকডাউনে ধাক্কা খেয়েছিল বাঙালির প্রিয় সৈকত শহর দিঘা। যে শহর প্রতিদিন সরগরম থাকত পর্যটকের ভিড়ে তা শুনশান হয়ে থাকে দীর্ঘ সময়। আনলক পর্বে কিছু পর্যটকে মিললেও হোটেল ব্যবসায়ী থেকে রিকশাচালক সকলেই কষ্টে ছিলেন। বুধবার প্রথম আসা লোকাল ট্রেন যেন এক রাশ খুশির হাওয়া নিয়ে ঢুকল দিঘায়।
এ দিন সকাল ৫টা ৪৫ মিনিট নাগাদ দিঘা থেকে পাঁশকুড়ার উদ্দেশে প্রথম লোকাল ট্রেন ছাড়ে। বেলা ১০টা ৫৭ মিনিটে মেচেদা থেকে প্রথম লোকাল ট্রেন দিঘায় আসে। তবে মেচেদা ও পাঁশকুড়া থেকে দিঘাগামী ট্রেন চলাচল শুরু হলেও হাওড়া থেকে দিঘা লোকাল বা তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস না চলায় কলকাতা ও শহরতলির পর্যটকদ পেতে এখনও কিছুটা সময় লাগবে বলেই মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
এ দিন প্রথম লোকালে দিঘায় এসেছেন সাঁতরাগাছির মুক্ত সরকার। তিনি জানিয়েছেন, লোকালে দিঘায় এসে ভীষণ খুশি তিনি। প্রতিটি স্টেশনে যথেষ্ট সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে বলে দাবি তাঁর। ট্রেনের ভিতরে একটি করে আসনে লাল ক্রস চিহ্ন দিয়ে যাত্রীদের মধ্যে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও ট্রেন স্যানিটাইজ করা হয়েছে, স্টেশনেও স্যানিটাইজার স্প্রে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। হলদিয়া থেকে দিঘায় সপরিবারে বেড়াতে এসেছেন পাপিয়া দে। তিনি নন্দকুমার স্টেশন থেকে দিঘা লোকালে চেপে দীর্ঘদিন বাদে সৈকত শহরে বেড়াতে এসেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘প্রথম ট্রেনে এসেছেন তিনি। খুব ভাল লাগছে। ভিড় কম থাকায় ট্রেনে যাত্রা খুবই সুন্দর হয়েছে। সুরক্ষা ব্যবস্থা, স্যানিটাইজার সবেরই ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।’’
স্টেশনের বাইরের স্থানীয় ভ্যান চালক তরুণ বারিক জানিয়েছেন, লোকাল ট্রেন চালু হওয়ায় তাঁরা অত্যন্ত আনন্দিত। তাঁদের পরিবারে এ বার খুশির দিন ফিরবে। সবাই দু’মুঠো খেতেও পাবেন। দিঘার স্টেশনের উল্টো দিকে ব্যবসায়ী মিঠু সেনাপতি জানিয়েছেন, ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় ভালই হয়েছে। এত দিনে রুজিরুটি প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। আজ ট্রেন আসার পর আবার সবাই ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করছে।