উদ্ধার হওয়া প্রসাধনী দেখাচ্ছেন পুলিশ সুপার।ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল
একটি আন্তজার্তিক প্রসাধন প্রস্তুতকারী সংস্থার নকল প্রসাধন সামগ্রী বিক্রির অভিযোগে মঙ্গলবার খড়্গপুরের গোলবাজার থেকে পাঁচজন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ দিন বিকেলে ধৃতদের হাজির করে এক সাংবাদিক বৈঠক করেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। তিনি জানান, গোলবাজার এলাকায় চারটি দোকানে হানা দিয়ে এই পাঁচজনকে ধরা হয়েছে। ধৃত মহম্মদ হুজাইফা, জাফর আহমেদ, মহম্মদ রিয়াজ, বিমল দাস, আশিস খানের বাড়ি খড়্গপুর টাউন থানা এলাকাতেই। চারটি দোকানে হানা দিয়ে প্রচুর নকল প্রসাধনীও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ সুপার আসল ও নকল প্রসাধনীগুলি পাশাপাশি দেখান। ভারতীদেবী জানান, বিদেশে তৈরি ওই সব নকল প্রসাধন সামগ্রী ইন্দো-চিন ও ইন্দো-মায়ানমার সীমান্ত দিয়ে এ দেশে ঢুকছে। তারপর তা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায়। এই সব নকল প্রসাধনীতে প্রস্তুতকারক সংস্থার ছবি ও লোগো হুবহু একরকম থাকায় ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন। জিনিস ব্যবহারের পরে হচ্ছে চর্মরোগ। চর্মরোগে আক্রান্ত ক্রেতাদের একাংশ, ক্রেতা সুরক্ষা আইনে প্রকৃত সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করছেন। দেশে-বিদেশে এ রকম বহু মামলা চলছে।
কী ভাবে এই সব নকল প্রসাধন সামগ্রী আসছে, তা খতিয়ে দেখতে প্রস্তুতকারী সংস্থাটি এক বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছিল। ওই সংস্থার কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। এ দিন খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী এবং এসডিপিও (খড়্গপুর) সন্তোষকুমার মণ্ডলের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে বমাল পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। ভারতীদেবী বলেন, “মহিলা হিসেবে মহিলাদের প্রতি আবেদন করছি, যাচাই করে প্রসাধন সামগ্রী কিনুন। নয়তো নিজেকে সুন্দর করতে গিয়ে চর্মরোগে আক্রান্ত হয়ে আপনারই ভোগান্তি বাড়বে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy