কেরানিতলার এক রেস্তোরাঁয় জমেছে পুজোর আড্ডা। —সৌমেশ্বর মণ্ডল
পুজোয় পেটপুজো চাই-ই চাই।
নানা স্বাদের পদ নিয়ে তাই এ বারও হাজির শহর মেদিনীপুরের রেস্তোরাঁ, হোটেলগুলো। বাঙালি পদের পাশাপাশি রয়েছে চাইনিজ ও কন্টিনেন্টাল। কোনও কোনও রেস্তোরাঁয় আবার ফুড ফেস্টিভ্যাল চলছে! রয়েছে প্যাকেজ সিস্টেম। অর্থাৎ, নির্দিষ্ট কয়েকটি পদের মধ্যে যাই খান, দাম নির্ধারিত। থাকছে বুফেও। মেদিনীপুরের কেরানিতলার এক রেস্তোরাঁর কর্ণধার অরুণাভ ঘোষ বলছেন, “পুজোর দিনগুলোয় বুফের ব্যবস্থা থাকে। স্বাদ বদলাতে অনেকে বিদেশি খাবার পছন্দ করেন। তাই বাঙালি পদের পাশাপাশি বিদেশি পদও রাখতে হয়।”
শহরের রেস্তোরাঁ, হোটেলগুলোয় ঢুঁ মেরে জানা গেল মেনুতে ভাত, শাকভাজা, শুক্তো, চচ্চরি, ডালনা, লাউ চিড়িং, মাছ ভাজা, ইলিশের নানা পদ, আলু পোস্ত, মাছের ঝোল, মাছের টক, শেষ পাতে চাটনি, পায়েস, দই, মিষ্টির মতো ষোলোআনা বাঙালি খাবারের আয়োজন তো থাকছেই। কমবেশি প্রায় সব রেস্তোরাঁ, হোটেলেই মিলবে চাইনিজ এবং মোগলাই পদ। যেমন চাউমিন, বিরিয়ানি, চিলি চিকেন, বাটার নান, হান্ডি চিকেন, তন্দুরি চিকেন, ফ্রায়েড রাইস, পনির বাটার মশলা, অমৃতসরি চিকেন, আফগানি চিকেন প্রভৃতি। পাশাপাশি থাকছে ভেজ স্যুপ, টমেটো স্যুপ, অমৃতসরি ফিস, বাটার ফিস মশালা, মেথি রাইস প্রভৃতি। শহরের এক রেস্তোরাঁর কর্ণধারের কথায়, “পুজোর সময় মোগলাই, চাইনিজের চাহিদা বেশ ভাল থাকে।”
ভিড় সামলাতে পুজোর ক’দিন শহরের একাধিক রেস্তোরাঁ টেবিলের সংখ্যা বাড়িয়েছে। পুজো দেখতে বেরিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে শহরের এক রেস্তোরাঁয় যান সুমনা দত্ত, অনিন্দিতা জানারা। সুমনাদেবীর কথায়, “পুজোর সময় রেস্তোরাঁয় খেতে ভাল লাগে। চাইনিজই বেশি পছন্দের।” এই সময় বিরিয়ানিরও একটা ভাল চাহিদা থাকে। মেদিনীপুরের ইতিউতি এখন অনেক বিরিয়ানির দোকান। ফুটপাতের পাশেই। বসে খাওয়া যেতে পারে। পার্সেলও করা যেতে পারে। দামও নাগালের মধ্যে। সব মিলিয়ে, পুজোর শহর যেন স্বাদে-গন্ধে আহ্লাদিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy