প্রতীকী ছবি।
পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষের দিনেই প্রশাসক নিয়োগ হল তমলুক পুরসভায়। বিদায়ী পুরবোর্ডের পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ সেনকেই প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। দুই সদস্যের বোর্ডের আর এক জন বিদায়ী উপ-পুরপ্রধান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায়।
সোমবার রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের যুগ্ম-সচিব এই নিয়োগের বিজ্ঞতি জারি করেন। আজ, মঙ্গলবার থেকে পুরপ্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন এবং সদস্যকে দায়িত্ব গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ প্রত্যাশামতই ২০টি ওয়ার্ডের পুরসভায় ক্ষমতায় বিদায়ী তৃণমূল পুরবোর্ডের পদাধিকারীরাই থাকলেন। বিদায়ী পুরবোর্ডের সব সদস্যই তৃণমূলের ছিল। তবে ২০১৫ সালের পুরনির্বাচনে তৃণমূল ১৬ টি ওয়ার্ডে জিতেছিল। নির্দল ৩ টি ওয়ার্ডে এবং বিজেপি ১টি ওয়ার্ডে জেতে। পরে বিজেপি ও নির্দল সদস্যরা সকলে তৃণমূলে যোগ দেন।
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে ফলের নিরিখে পুরসভার ২০ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০ টিতে তৃণমূল ও ১০ টিতে এগিয়ে ছিল বিজেপি। ফলে এ বার পুরনির্বাচনে রাজ্যের শাসকদল ও কেন্দ্রের শাসকদলের জোরদার লড়াই হবে ধরে নিয়েছিল জেলার রাজনৈতিক মহল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় লকডাউনের জেরে পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষের আগে পুর নির্বাচন হয়নি। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসক নিয়োগ করে পুরসভার কাজ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই প্রশাসক বোর্ড কাজ চালাবে বলে জানানো হয়েছে।
বিদায়ী পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ সেন বলেন, ‘‘’রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের বিজ্ঞপ্তি পেয়েছি। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা মেনে প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন হিসেবে মঙ্গলবার দায়িত্ব গ্রহণ করব।’’ তবে পুরসভায় প্রশাসক হিসেবে বিদায়ী পুরপ্রধানকে নিয়োগ নিয়ে বিজেপি জেলা ( তমলুক) সভাপতি নবারুণ নায়েক বলেন, ‘‘নির্বাচিত পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষের আগে পুরনির্বাচন না হলে সরকারি আধিকারিককে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে রাজ্য সরকার ঘুরপথে বিদায়ী পুরপ্রধানদের ক্ষমতায় বসিয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, আজ মঙ্গলবার কাঁথি পুরবোর্ডের ও আগামীকাল বুধবার এগরা পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy