শোভা বসু। —নিজস্ব চিত্র
শুধু নতুন বোর্ডের পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা নন, কাজ করে ভাতা পাননি আগের বোর্ডের প্রতিনিধিরাও। বকেয়া ভাতা না পেয়ে এ বার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূলের প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান।
গড়বেতা ১ ব্লকের আমলাগোড়া পঞ্চায়েতের আগের বোর্ডের প্রধান ছিলেন শোভা বসু। পাঁচ বছর প্রধান থাকাকালীন তিনি সাম্মানিক ভাতা হিসেবে ৩ হাজার টাকা করে পেতেন। তিনি জানান, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেই ভাতা পেলেও তারপর থেকে সেটি বন্ধ। তিনি বলেন, ‘‘আগে প্রতি মাসে না হলেও দু’তিন মাস অন্তর ভাতার পুরো টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে যেতো। কিন্তু ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারির পরে আর কোনও ভাতা পাইনি। যদিও আমি গত বছর অগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রধান ছিলাম। কাজও করেছি।’’ বকেয়া ভাতা পেতে ব্লক ও জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠি দিয়েছেন তিনি। আপাতত গৃহশিক্ষকতা করে দিন কাটছে অকৃতদার এই মহিলার। তৃণমূলের গড়বেতা ১ ব্লক সভাপতি সেবাব্রত ঘোষ বলেন, ‘‘অনেকেই ভাতা পাননি। কিছু আইনি জটিলতাও ছিল। টাকা এলেই সবাই ভাতা পাবেন।’’
গড়বেতা ১ ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগের বোর্ডের পঞ্চায়েতের অনেক জনপ্রতিনিধিরই কয়েক মাসের করে প্রাপ্য ভাতা বাকি রয়েছে। ব্লক প্রশাসন থেকে বিষয়টি জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরে জানানো হয়েছে। ওই ব্লকের যুগ্ম বিডিও বিশ্বনাথ ধীবর বলেন, ‘‘বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখছি। যথাস্থানে জানানো হয়েছে। টাকা এলেই উনারা ভাতা পাবেন।’’ মেদিনীপুর সদর মহকুমা শাসক দীননারায়ণ ঘোষের আশ্বাস, ‘‘বরাদ্দ মঞ্জুর হলেই সবাই বকেয়া ভাতা পেয়ে যাবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy