মেদিনীপুর সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেতে পারেন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৪ জন বন্দি। তাঁদের মুক্তি দেওয়ার প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, সম্প্রতি ডিজি (কারা) অরুণকুমার গুপ্তের দফতর থেকে এমনই নির্দেশ এসেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনার দফতরে।
রাজ্য থেকে জেলায় আসা নির্দেশে ওই ৪ জন বন্দি সম্পর্কে কিছু তথ্য জানানোর কথা বলা হয়েছে। তাঁদের মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের কী মত তাও জানানোর কথা বলা হয়েছে। জেলাশাসকের দফতর থেকে আবার সংশ্লিষ্ট মহকুমাশাসকের দফতরে ওই ৪ জন বন্দি সম্পর্কে তথ্য জানতে চেয়ে এক নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা মানছেন, “রাজ্যের এক নির্দেশ এসেছে। সেই নির্দেশ মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”
জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, দীপক মান্না, স্বপন মাল, কালীপদ সেন ও ভীমচরণ মাণ্ডি- এই ৪ জন বন্দি সম্পর্কেই কিছু তথ্য জানতে চেয়েছে রাজ্য। প্রত্যেকেরই খুনের মামলায় ১৪ বছর কিংবা তার বেশি সময়ে জেল খাটা হয়ে গিয়েছে। দীপকের বাড়ি দাসপুরের উদয়চকে। ১৯৯৬ সালের জুলাইতে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ১৯৯৭ সালের অগস্টে তাঁর সাজা ঘোষণা হয়। সেই থেকে দীপক জেলে রয়েছেন। স্বপনের বাড়ি পিংলার সিতিবিন্দায়। ১৯৯৬ সালের মার্চে গ্রেফতার হন। ১৯৯৭ সালের মে মাসে তাঁর সাজা ঘোষণা হয়।
বাকি দুই বন্দির মধ্যে কালীপদ গোপীবল্লভপুরের বাথানডিহার বাসিন্দা। ১৯৮৮ সালের মে মাসে গ্রেফতার হন। ২০০১ সালে তাঁর সাজা ঘোষণা হয়। অন্য দিকে, ভীমচরণের বাড়ি লালগড়ের মোহনপুরে। ২০০২ সালের মে মাসে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০০৬ সালের মার্চে তাঁর সাজা ঘোষণা হয়। মেদিনীপুরের এক কারাকর্তা বলেন, “যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিরা ১৪ বছর কিংবা তার বেশি সময়ে জেল খাটা হয়ে গেলে রাজ্যের কাছে আবেদন করেন। সেই আবেদন খতিয়ে দেখেই রাজ্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেয়।
এ ভাবে বন্দি মুক্তি এই প্রথম নয়, আগেও হয়েছে। ২০১২ সালের এপ্রিলে মেদিনীপুর জেলে বন্দি থাকা ৮ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে মুক্তি দেয় রাজ্য। রাজ্যে একটি রিভিউ বোর্ড রয়েছে। এই বোর্ডই আবেদন দেখে পদক্ষেপ করে। মেদিনীপুরের ওই কারাকর্তা জানাচ্ছেন, “আবেদন করলেই যে মুক্তি মিলবে তা নয়। বোর্ড সংশ্লিষ্ট বন্দির আচার, আচরণ-সহ আরও নানা দিক খতিয়ে দেখে তবেই সিদ্ধান্ত নেয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy