মন্দারমণির পর এ বার দিঘা ও তাজপুরের সমুদ্র সৈকতেও অবৈধভাবে গজিয়ে উঠা হোটেল-রিসর্টে নোটিস পাঠানো শুরু হল। রামনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাহী আধিকারিক তথা বিডিও অনুপম বাগ জানান, ইতিমধ্যেই ‘দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ’ (ডিএসডিএ) ও রামনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে আটটি হোটেলে শো-কজ নোটিস পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার তাজপুরে সমুদ্র সৈকতে গড়ে ওঠা আরও চারটি হোটেলকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানো হচ্ছে। দিঘা ও তাজপুর মিলিয়ে মোট ১২টি হোটেল ও রিসর্টকে কোনওরকম অনুমতি ছাড়া অবৈধ ভাবে নির্মাণের কারণ জানানোর জন্য নোটিস পাঠানো হচ্ছে বলে জানান অনুপমবাবু।
ডিএসডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হোটেল- রিসর্টগুলি শো-কজ নোটিসের উপযুক্ত জবাব দিতে না পারলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হোটেল-রিসর্টগুলি ভেঙে ফেলা হবে। এ বিষয়ে সাংসদ তথা ডিএসডিএ-র চেয়ারম্যান শিশির অধিকারী জানান, দিঘা, তাজপুর ও মন্দারমণিতে যে কোনও ধরনের নির্মাণের উপর সরকারি বিধিনিষেধ রয়েছে। তাছাড়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেও এই সব এলাকায় নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দিয়ে যান। প্রশাসনিক নির্দেশ অমান্য করে বেআইনি ও অবৈধভাবে যে সব হোটেল-রিসর্ট তৈরি হয়েছে সেগুলিপ্রশাসনের পক্ষ থেকে ভেঙে দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, মন্দারমণিতে বেআইনিভাবে নির্মিত পাঁচটি হোটেল মঙ্গলবার ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy