Advertisement
E-Paper

অভিযুক্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘাটালে

পুলিশ সূত্রের খবর, ঘাটালের কোন্নগরের যুবক সুরজিতের সঙ্গে পেশায় অটোচালক রবীন্দ্রনাথবাবুর নাবালিকা মেয়ের বছর তিনেক ধরে প্রেম রয়েছে। কিন্তু এই সম্পর্কে আপত্তি ‌ছিল রবীন্দ্রনাথবাবু ও তাঁর স্ত্রীর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৭ ০০:৫৫

মেয়ের প্রেমিককে মারধর এবং শরীরে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত বাবার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ।

রবিবার সকালে ঘাটাল থানার বালিডাঙা গ্রামে ঝুমি নদীর বাঁধে একটি গাছে রবীন্দ্রনাথ সেনাপতির (৪৫) ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান লোকজন। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদের কারণেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন রবীন্দ্রনাথবাবু।

পুলিশ সূত্রের খবর, ঘাটালের কোন্নগরের যুবক সুরজিতের সঙ্গে পেশায় অটোচালক রবীন্দ্রনাথবাবুর নাবালিকা মেয়ের বছর তিনেক ধরে প্রেম রয়েছে। কিন্তু এই সম্পর্কে আপত্তি ‌ছিল রবীন্দ্রনাথবাবু ও তাঁর স্ত্রীর। গত ১ জুন, বৃহস্পতিবার রাতে ওই নাবালিকা সুরজিৎকে মোবাইলে ফোন করে বাড়িতে ডাকে। রাতে মেয়ের সঙ্গে সুরজিৎকে গল্প করতে দেখে রবীন্দ্রনাথবাবু ও শেফালিদেবী রেগে যান। মেয়েকে শৌচাগারে আটকে রেখে সুরজিৎকে মারধর করেন। মারের চোটে সুরজিৎ অজ্ঞান হয়ে গলে দু’জনে তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে অ্যাসিড ঢেলে দেন বলে অভিযোগ। শুক্রবার পুলিশ শেফালিদেবীকে গ্রেফতার করলেও রবীন্দ্রনাথবাবু পলাতক ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনার পরই রবীন্দ্রনাথবাবু হুগলির জগৎপুরে এক আত্নীয়ের বাড়িতে পালিয়ে যান। শনিবার রাতে কাউকে কিছু না জানিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়েন। এরপরেই রবিবার সকালে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে যে গাছ থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে তার নীচে মদের বোতল পাওয়া যায়। তাদের ধারণা, মদ খেয়ে গাছে উঠে তিনি গলায় দড়ি দেন।

শনিবার নাবালিকা বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দি দেয়। বিচারকের নির্দেশে তাকে মেদিনীপুরের সরকারি হোমে রাখা হয়েছে।

Ghatal acid attack unnatural death
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy