Advertisement
E-Paper

আত্মহত্যায় প্ররোচনা, ধৃত প্রধান শিক্ষক

ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পরে পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেছিলেন, প্রধান শিক্ষক আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন। তার ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হল হল দাঁতনের জেনকাপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ধীরেন্দ্রনাথ জানাকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৬ ০৭:২৯

ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পরে পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেছিলেন, প্রধান শিক্ষক আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন। তার ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হল হল দাঁতনের জেনকাপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ধীরেন্দ্রনাথ জানাকে। শুক্রবার মেদিনীপুর আদালতে হাজির করানো হলে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে দাঁতনের ওই স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সঙ্গীতা গিরি (১৮)-এর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তার বাড়ি জেনাপুরের সন্তোষপুরে। সঙ্গীতার পরিজনেরা জানিয়েছেন, প্রাপ্তবয়স্ক হতেই মাস তিনেক আগে তার বিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাপের বাড়িতে থেকেই পড়া চালাচ্ছিল ওই ছাত্রী। এ নিয়ে স্কুল যাতায়াতের পথে এলাকার কয়েকজন যুবক সঙ্গীতাকে কটূক্তি করছিল। বুধবার প্রধান শিক্ষক ধীরেন্দ্রনাথ জানার কাছে অভিযোগ জানায় ওই ছাত্রী। কিন্তু প্রধান শিক্ষক সেই অভিযোগে গুরুত্ব না দিয়ে উল্টে ছাত্রীকে বকুনি দিয়ে স্কুলে আসতে নিষেধ করে বলে অভিযোগ।

সঙ্গীতার বাবা হরেন গিরি বলেন, “আমার স্ত্রী ওই স্কুলেই রাঁধুনির কাজ করেন। আমি সারাদিন পান বরজে কাজ করি। সংসারে অভাব থাকায় প্রাপ্তবয়স্ক হতেই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলাম। তবে মেয়ে পড়াশুনো ছাড়েনি। কিন্তু ওঁকে প্রধান শিক্ষক যে ভাবে অপমান করে স্কুলে যেতে নিষেধ করেছিলেন সেটা মেয়ে মেনে নিতে পারেনি।’’ বৃহস্পতিবার বিকেলে সঙ্গীতার দেহ উদ্ধারের পরে রাতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ জানান মৃত ছাত্রীর বাবা হরেন গিরি। প্রধান শিক্ষককে গ্রামবাসী মারধরও করে। পরে পুলিশ তাঁকে গিয়ে উদ্ধার করে।

Teacher student Death police arrest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy