Advertisement
E-Paper

অতিবৃষ্টির জেরে জলমগ্ন ঘাটাল

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:২০
নদী নয়, চন্দ্রকোনার মনসা চাতালের ছবিটা এখন এমনই। কৌশিক সাঁতরার তোলা ছবি।

নদী নয়, চন্দ্রকোনার মনসা চাতালের ছবিটা এখন এমনই। কৌশিক সাঁতরার তোলা ছবি।

বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের জলমগ্ন ঘাটাল। জলের দখলে চলে গিয়েছে ক্ষীরপাই-চন্দ্রকোনা সড়ক। বুধবার রাত থেকে ওই সড়কে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে সমস্যায় পড়েছেন বন্যাপ্রবণ ঘাটালের কয়েক হাজার বাসিন্দা। ঘাটালের মহকুমাশাসক পিনাকীরঞ্জন প্রধান বলেন, “ঘাটাল ব্লকের একাধিক পঞ্চায়েত এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। চন্দ্রকোনা-১ ও ২ ব্লকের পরিস্থিতিও এক। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরাও সতর্ক।”

প্রশাসন সূত্রে খবর, অতি বৃষ্টি ও কংসাবতী জলাধার থেকে জল ছাড়ার ফলেই ফের জলমগ্ন ঘাটাল শহর-সহ ব্লকের একাধিক পঞ্চায়েত এলাকা। চন্দ্রকোনা-১ ব্লকের মানিককুণ্ডু ও চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের বসনছড়া পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রামও প্লাবিত হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে ঘাটালের শিলাবতী, কেঠিয়া, কংসাবতী, ঝুমি-সহ অনান্য নদীগুলিতে জল বাড়ছিল। রাতে পুর এলাকার ১২টি ওয়ার্ডে জল ঢুকে পড়ে। সঙ্গে ঘাটাল ব্লকের ১২টি পঞ্চায়েতের মধ্যে দেওয়ানচক-১ ও ২ এবং অজবনগর-১ ও ২ এবং সুনতানপুর, ইড়াপালা প্রভৃতি পঞ্চায়েতের প্রায় ৪০টি গ্রাম পুরোপুরি জলের দখলে। ওই সব এলাকার চাষের খেতও এখন জলের তলায়।

শহরের রাস্তাগুলিতেও জল উঠে যাওয়ায় নৌকায় চেপে যাতয়াতে বাধ্য হচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। ঘাটাল শহরের এক ব্যবসায়ী অমল মণ্ডল বলেন, “আমার কাঠের দোকান। বন্যায় দোকানে জল ঢোকায় মালপত্র সব সরিয়ে নিয়েছিলাম। সোমবারই সব মালপত্র ফের দোকানে ঢুকিয়েছিলাম। ফের দোকানে জল ঢুকেছে।’’

জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, “বৃষ্টি কমলেও ডিভিসি, মুকুটমণিপুর-সহ বিভিন্ন জলাধার থেকে ক্রমশ জল ছাড়া হচ্ছে। এখন শিলাবতী, ঝুমি,কংসাবতী-সহ অনান্য নদীর জল প্রাথমিক বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে।’’ বুধবার বিকাল থেকেই ক্ষীরপাই সংলগ্ন কেঠিয়া চাতাল জলের দখলে চলে যায়। সন্ধ্যার পর জল বাড়তে থাকায় রাত থেকে ক্ষীরপাই-চন্দ্রকোনা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবারও ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।

rainfall waterlogged
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy