Advertisement
E-Paper

ভারতীকে ডাকতেই কোন্দল মেটাতে তৎপরতা তৃণমূলের

সবংয়ের গাছ কাটার ঘটনায় হাইকোর্ট তলব করেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষকে। ডাকা হয়েছে সবং থানার ওসি দয়াময় মাঝিকেও। আর তারপরই ঘুম ছুটেছে জেলা তৃণমূলের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:৪৪

সবংয়ের গাছ কাটার ঘটনায় হাইকোর্ট তলব করেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষকে। ডাকা হয়েছে সবং থানার ওসি দয়াময় মাঝিকেও। আর তারপরই ঘুম ছুটেছে জেলা তৃণমূলের।

শাসকদলের একাংশ নিশ্চিত, ওই ঘটনার পিছনে দলের গোষ্ঠী কোন্দল দায়ী। তাই দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে কোন্দল মেটাতে মরিয়া জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “সবংয়ের ওই ঘটনার ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়েছি। গোলমাল মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

জেলা নেতৃত্ব গোলমাল মেটানোর নির্দেশ দিয়েছেন ব্লক নেতৃত্বকে। ব্লক নেতৃত্ব আবার জেলা নেতৃত্বের দিকে বল ঠেলেছেন। তৃণমূলের সবং ব্লক সভাপতি প্রভাত মাইতি বলেন, “জেলা থেকে মীমাংসার কথা বলা হয়েছে। আমরা বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকেই দেখতে বলেছি। পারলে জেলা নেতৃত্ব মীমাংসা করে দিক।”

গত শনিবার সবংয়ের তেমাথানিতে তৃণমূলের ছাত্র-যুব সমাবেশে গিয়ে দলের স্থানীয় এক নেতাকে কড়া বার্তা দিয়ে আসেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিতবাবু। তিনি বুঝিয়ে দেন, আলোচনার মাধ্যমে ওই ঘটনার মীমাংসা না-হলে তা ভাল হবে না। গোটা ঘটনায় পুলিশ যে বেশ অসন্তুষ্ট তাও জানিয়ে দেন তিনি। তৃণমূলের এক সূত্রে খবর, মামলাকারী একাধিকজনের সঙ্গে জেলা তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার কথা হয়েছে। তিনিও মামলাকারীদের আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর বার্তা দিয়েছেন। তৃণমূলের এক জেলা নেতার মন্তব্য, “মামলা না হলে হাইকোর্ট পুলিশ সুপার-ওসিকে তলব করত না। পুরো ঘটনা এ ভাবে সামনেও আসত না।”

সবংয়ের বলপাইতে রাস্তা তৈরির জন্য আকাশমণি ও ইউক্যালিপটাস গাছ কাটার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল বন দফতরের কাছে। বন দফতর মোট ৯৯৬টি গাছ কাটার অনুমতি দেয়। কিন্তু অভিযোগ, গত অক্টোবরে পঞ্চায়েত প্রধান সন্দীপ ঢাল প্রায় দু’হাজার গাছ কেটে ফেলেন। অতিরিক্ত গাছ বিক্রির টাকা তছরুপ করেছেন বলেও অভিযোগ। গ্রামবাসীদের একাংশ বন দফতরে বিষয়টি জানালেও প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারপরই হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন জনা পনেরো গ্রামবাসী। ওই মামলাতেই আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সুপার ভারতীদেবী ও সবংয়ের ওসিকে তলব করেছে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতে হাজির হয়ে তাঁদের জানাতে হবে, গাছ কাটায় অভিযুক্ত প্রধানের বিরুদ্ধে ঠিক কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত প্রধান সন্দীপবাবুর অবশ্য দাবি, একটাও বেশি গাছ কাটা হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে দলেরই একাংশ চক্রান্ত করছে।

High Court Bharati Ghosh summon
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy