দার্জিলিঙের আদলে জঙ্গলমহলে হোম-স্টে চালু করার পরিকল্পনা ছিল প্রায় বছর চারেক আগে। সে জন্য জরিপ হয়েছিল জঙ্গলমহল। তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ২০১৬-র শেষেও কোনও পরিকাঠামো গড়ে তোলা যায়নি।
প্রথমবার ক্ষমতায় এসেই জঙ্গলমহলে হোম-ট্যুরিজম শিল্প গড়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১২ নাগাদ বেলপাহাড়ির কয়েকটি এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িতে পর্যটকদের রাখার প্রাথমিক কথাবার্তাও চালিয়েছিল বন দফতর। জঙ্গলমহলে এসে প্রতিবারই নিসর্গের প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলে থাকেন পর্যটন সম্ভাবনার কথা। সেখান থেকেই দার্জিলিঙের আদলে ‘হোম-ট্যুরিজম’-এ জঙ্গলমহলের আদিবাসী-মূলবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজনকে বিকল্প আয়ের সন্ধান দিতে চায় প্রশাসন।
রাজ্যে ক্ষমতার পালা বদলের পর থেকে প্রতি শীতেই প্রচুর মানুষ জঙ্গলমহলে বেড়াতে আসেন। ভিন্ রাজ্য থেকে, এমনকী বিদেশ থেকেও পর্যটকরা ঝাড়গ্রামে ছুটি কাটাতে আসেন। বেলপাহাড়ির পাহাড়-জঙ্গলে ঘেরা গ্রামগুলিতে রাত্রিযাপনের চাহিদাও তুঙ্গে। কিন্তু এ ব্যাপারে প্রশাসনিকস্তরে অনুমতি না-থাকায় বাসিন্দারা নিজেদের বাড়িতে পর্যটকদের রাখার ঝুঁকি নিতে চান না। তা ছা়ড়া, এ কথাও সত্যি যে, কাঁকড়াঝোর, গাডরাসিনি, লালজল, ঘাঘরা, খাঁদারানির মতো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এলাকাগুলিতে পর্যটকদের থাকার মতো পরিকাঠামোও নেই।