দিঘার সমুদ্র সৈকত। —ফাইল চিত্র।
হাতে সময় নেই এক সপ্তাহও। তারপরেই শুরু ছুটির মরসুম। বড়দিন, ইংরেজি বর্ষ বিদায় আর নববর্ষ উদযাপন। পর্যটকের ঢল নামতে চলেছে দিঘায়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সৈকতরে হোটেল এবং লজগুলিতে সে রকম অগ্রিম ঘর বুকিং হয়নি বলে খবর। তাই আগামী শনিবার সপ্তহান্তের দিকে তাকিয়ে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।
বড়দিনের ছুটির আগে গতকাল ছিল শেষ রবিবার। ওই দিন প্রায় ফাঁকাই ছিল সৈকত শহর দিঘা। পর্যটক নেই বললেই চলে মন্দারমণিতেও। পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত অনেকেরই দাবি, ভরা মরসুমেও হোটেল বুকিং সে রকম আসেনি। ওল্ড দিঘার এক হোটেল মালিক বলছেন, ‘‘মাত্র সাত থেকে আটটা ঘর বুকিং হয়েছে। এখনও ৫০টার বেশি ঘর ভাড়া হয়নি।’’ আপাতত আগামী শনিবার থেকে সৈকত নগরীতে পর্যটকেরা পা রাখতে পারেন ধরে নিয়ে আশাবাদী হোটেল ব্যবসায়ীরা। ‘দিঘা-শঙ্করপুর হোটেল মালিক সংগঠনে’র যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলছেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত অগ্রিম ঘর বুকিং কম হয়েছে। তবে, মনে হচ্ছে বড়দিনের পর থেকে পর্যটকদের বেশ ভালই ভিড় হবে। প্রায় সব হোটেলেই পর্যটকেরা প্রচুর ফোন করছেন খবর নিচ্ছেন।’’
ওল্ড এবং নিউ দিঘাতে মিলিয়ে ৭০০টিরও বেশি হোটেল এবং লজ রয়েছে। কমবেশি সারা বছর পর্যটকরা সেখানে বেড়াতে যান। অনেক পর্যটকই জানেন, বড়দিনের ছুটিতে ঘুরতে যাওয়ার আলাদা একটা হিড়িক থাকে। তাই শেষ মুহূর্তে বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘর পাবেন কি না, সেই আশঙ্কা থেকে অগ্রিম বুকিং করেন তাঁরা। তাহলে এ বছর কেন হোটেল এবং লজে অগ্রিম বুকিং হচ্ছে না?
এ বিষয়ে দিঘা হোটেল মালিক সংগঠনের অন্যতম কর্মকর্তা গিরিশচন্দ্র রাউৎ বলেন, ‘‘কেন এমনটা হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছি না। কয়েকদিন লম্বা ছুটি আছে। আশা করি হোটেল এবং লজের অধিকাংশই বুকিং হয়ে যাবে।’’ একই রকম খবর মিলেছে মন্দারমণিতেও। সেখানকার এক হোটেল মালিক সুমন মিশ্র বলছেন, ‘‘গত রবিবার ছুটির দিনে একেবারেই পর্যটক নেই। বড় দিনের ছুটিতে হোটেলে রুম অগ্রিম বুকিং না হলেও অনেকেই বেড়াতে আসবেন বলে জানিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy