Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

মায়ের ইচ্ছাপূরণই স্বপ্ন মা-হারা যূথীর

পরীক্ষা কেন্দ্রে আসার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় কাঁথি সাতমাইলের পশ্চিম মানিকপুরের বাসিন্দা, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী যূথী পাত্রের মায়ের।

জয়ী: বাবার সঙ্গে যূথী পাত্র। নিজস্ব চিত্র

জয়ী: বাবার সঙ্গে যূথী পাত্র। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদতা
কাঁথি শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৯ ০১:২২
Share: Save:

প্রথম তিনটে পরীক্ষা ভালই হয়েছিল। বিপদটা আসে চতুর্থ পরীক্ষার দিন।

পরীক্ষা কেন্দ্রে আসার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় কাঁথি সাতমাইলের পশ্চিম মানিকপুরের বাসিন্দা, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী যূথী পাত্রের মায়ের। পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে মায়ের মৃত্যুসংবাদ শুনেছিলেন যূথী। প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে মনের জোরে বাকি পরীক্ষাগুলো অবশ্য দিয়েছিলেন সাতমাইল হাইস্কুলের ওই ছাত্রী। সোমবার পরীক্ষার ফল বেরিয়েছে। ৩২৮ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন যূথী।

যূথীর পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল কাঁথি হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ে। পরীক্ষার দিনগুলিতে স্কুলের সামনে থেকে ভাড়ার গাড়িতে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতেন যূথী এবং তাঁর কয়েক জন বান্ধবী। যূথীর বাবা বিদ্যুৎ পাত্র এবং মা ঝর্না পাত্র (৪৩) ওই গাড়ির পিছনে মোটরবাইকে নিয়ে পৌঁছতেন পরীক্ষা কেন্দ্রে। গত ৫ মার্চ অঙ্ক পরীক্ষার দিন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ঝর্নাদেবীর। সে সময় মানসিকভাবে ভেঙে পড়া যূথীকে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্থিতধী দাস-সহ অন্যেরা।

যূথীর পরিবার সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার আগের পরীক্ষাগুলিতে যূথী ভাল নম্বর পেলেও ৫ মার্চের পরের পরীক্ষাগুলিতে ভাল নম্বর আসেনি। সোমবার তাঁর বাবা বিদ্যুৎ পাত্র বলেন, “ওই ঘটনার পর মেয়ে পরীক্ষা দিতে পেরেছিল, এটাই বড় কথা। ফলাফল নিয়ে চিন্তত নই।’’ এ দিন মার্কশিট নিতে স্কুলে এসেছিল যূথী। তাঁর কথায়, “কলেজে ভর্তি হব। সঙ্গে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আসলে চাকরি করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। মা তো এটাই চেয়েছিলেন!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE