Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Arms

Arms: মাটি খুঁড়তে গিয়ে উঠে এল প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র, মাওবাদীদের লুকিয়ে রাখা বলে সন্দেহ

বিপুল পরিমাণ অস্ত্র দেখে চক্ষু চড়কগাছ গোয়ালতোড়ের বাসিন্দাদের। অস্ত্রভান্ডার দেখে তাঁরা খবর দেন পুলিশে। পুলিশ এসে ওই এলাকা ঘিরে ফেলে।

মাটির তলা থেকে উদ্ধার হওয়া সেই আগ্নেয়াস্ত্র।

মাটির তলা থেকে উদ্ধার হওয়া সেই আগ্নেয়াস্ত্র। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২২ ১৭:৪৩
Share: Save:

মাটি খুঁড়তে গিয়ে উদ্ধার হল প্রচুর গুলি এবং বন্দুক। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গোয়ালতোড় থানার বড়ডাঙা গ্রামে। পুলিশ ওই বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজ উদ্ধার করেছে।

বুধবার দুপুর একটা নাগাদ বড়ডাঙা গ্রামের মানুষ জমি সমতল করার জন্য মাটি কাটছিলেন। সেই সময় হঠাৎ এক জনের কোদালের সঙ্গে মাটিতে পোঁতা অবস্থায় থাকা কিছুর সংঘর্ষ ঘটে। ধাতব শব্দ শুনে অনেকেরই সন্দেহ জন্মায়। এর পর মাটির তলা ৫০-৬০টি দোনলা বন্দুক বস্তাবন্দি অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ছাড়াও প্রায় হাজার খানেক কার্তুজও উদ্ধার হয়। ওই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র দেখে চক্ষু চড়কগাছ স্থানীয় বাসিন্দাদের। অস্ত্রভান্ডার দেখে তাঁরা খবর দেন পুলিশে। পুলিশ এসে ওই এলাকা ঘিরে ফেলে। অস্ত্র উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় নলবনা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অজয় সাউ বলেন, ‘‘স্থানীয় মানুষ মাটি কাটতে গিয়ে বন্দুক দেখতে পান। বিষয়টি তাঁরা আমাকে জানান। এর পর আমি গোয়ালতোড় থানায় খবর দিই। পুলিশ বন্দুক এবং গুলি উদ্ধার করেছে।’’

জঙ্গলমহলে অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি সামনে আসতেই তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। স্থানীয় বিজেপি নেতা গৌতম কৌড়ির অভিযোগ, ‘‘এখানে মাটির তলা থেকে বন্দুক এবং কার্তুজ দুইই উদ্ধার হয়েছে। এক সময় এখানে মাওবাদী এবং সিপিএমের হার্মাদ বাহিনী দুইই সক্রিয় ছিল। এই অস্ত্র কাদের খতিয়ে দেখতে হবে। এই অস্ত্র দেশবিরোধী কোনও শক্তির কি না তা জানা নেই। তাই আমরা এনআইএ তদন্ত চাই।’’

মাটি থেকে তোলা হচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্র।

মাটি থেকে তোলা হচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্র। নিজস্ব চিত্র।

বিষয়টি নিয়ে সিপিএমেরপ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সম্পাদক তরুণ রায় বলেন, ‘‘এ সব তৃণমূল আর বিজেপি-র গল্প ছাড়া আর কিছু নয়। সিপিএমের হার্মাদ বলে কিছু নেই। সে সময় মাওবাদীদের হাতে খুন হয়েছেন অনেক সিপিএম নেতা-কর্মী। তৃণমূল এবং বিজেপি নিজেদের দায় এড়াতেই সিপিএমকে দোষারোপ করছে।’’

বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, ‘‘২০১১ সালের আগে এলাকা দখলের জন্য সিপিএমের হার্মাদরা শিবির করে এলাকা সন্ত্রস্ত করে রাখত। জঙ্গলমহল এলাকায় এর আগেও একাধিক জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছিল আগ্নেয়াস্ত্র। ওরা জাদুঘরে চলে গিয়েছে। তাই উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলিও জাদুঘরে পাঠাতে হবে। ওরাই এক সময় লাল টুপি বদলে গেরুয়া টুপি পড়ে নিয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Arms Maoist police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE